চসিকের পরিচ্ছন্ন-কর্মীরা পাচ্ছেন ১ হাজার ৩০৯টি ফ্ল্যাট
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) পর এবার ফ্ল্যাটে বসবাসের সুযোগ পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ১ হাজার ৩০৯ জন পরিচ্ছন্ন-কর্মীর পরিবার। এজন্য ১ হাজার ৩০৯টি ফ্ল্যাট নির্মাণের একটি প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন পরিচ্ছন্ন-কর্মী নিবাস নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ভবনগুলোর প্রতিটি ইউনিটে একটি করে ফ্ল্যাট পাবেন পরিচ্ছন্ন-কর্মীরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এরই মধ্যে প্রক্রিয়াকরণ শেষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ লক্ষে ১ হাজার ৩০৯ জন সেবকের জন্য ৭৩ হাজার ২১৩ বর্গ মিটার ভবনে ১ হাজার ৩০৯টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরের ডিসি হিলের পশ্চিম পাশে ঝাউতলা সেবক কলোনির ৪৮ দশমিক ৮৫ কাঠা জমির ওপর দুটি ভবনের নকশা চূড়ান্ত করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। পুরোনো চারটি ভবন ভেঙে ওই জায়গায় ১৪ তলা ভবন তৈরি করা হবে। একেকটি ভবনের এক ফ্লোরে থাকতে পারবেন ১৮টি পরিবার। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আকার হবে ৪২৫ বর্গফুট। যাতে থাকবে দুটি শোবার ঘর, রান্নাঘর, বারান্দা ও শৌচাগার।
এ আবাসন প্রকল্পে স্কুল, উন্নতমানের ডে কেয়ার, উপাসনালয়, বিনোদন কেন্দ্র, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন এবং নিজস্ব পানির সুব্যবস্থাও থাকবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পরিচ্ছন্ন-কর্মীদের মৌলিক অধিকারসহ শিক্ষা, বাসস্থান, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যাবে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের বরাতে জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সিটি পল্লীতে বসবাসরত ১ হাজার ৩০৯ জন পরিচ্ছন্ন-কর্মীর জন্য একটি করে ফ্ল্যাটের কথা বলা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন-কর্মীদের জন্য নির্মাণাধীন ভবনগুলোর সকল ফ্ল্যাটই হবে আধুনিক মানের।
নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, ২০১৭ সালে ১৯ নভেম্বর নগর ভবনের এক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্মাণ-খরচে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেবেন বলে জানান। সেসময় তিনি জানিয়েছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও ঐকান্তিক আগ্রহে ২৩৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য সাতটি ১৪ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। যাতে ৮৩২টি সেবক পরিবার আবাসনের ঠিকানা পাবে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের প্রায় ৮টি স্থানে পরিচ্ছন্ন-কর্মীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে। ২ হাজার ৪৬১টি পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৪৬৩ জন। ১ হাজার ৩০৯ জন পরিচ্ছন্ন-কর্মী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত। বাকিরা নগরীর অন্যান্য অফিস, আদালত ও ব্যক্তিগত ভবনে পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন