চাঁদপুরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল ২ শিশুকন্যা ও মায়ের মরদেহ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মা ও তার দুই শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ওই নারীর স্বামী আরিফ রাঢ়িকে আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মৃতরা হলেন, ফাতেমা আক্তার সীমা (২৫), তার মেয়ে আরিফা (৪) ও আরিয়া (২)।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে পূর্ব লাড়ুয়া গ্রামের রাঢ়ির বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সীমার পিতা পার্শ্ববর্তী হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কোতোয়াল জানান, সামাজিকভাবে গত ছয় বছর পূর্বে আরিফের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর আরিফ কর্মসংস্থানের জন্য দুবাইতে যান। গত একমাস পূর্বে বাড়িতে এসেছেন। তার মেয়ের সঙ্গে কোনো বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে কি না এমন কথা মেয়ে কখনো জানায়নি। সামাজিকভাবেই চার লাখ টাকার কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্যর জন্য আরিফের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কেউই বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে দুপুরে তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। প্রবাস ফেরত আরিফের দালান ঘরে এসে আমরা তার স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি।
ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হয় কারণ তাদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল। দরিদ্র পরিবার মনে হয়নি। তাদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ়। তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি তার স্ত্রী স্বামী আরিফ পরকীয়া লিপ্ত আছে বলে সন্দেহ করত।
ওসি আরও বলেন, আমাদের ধারণা পরকীয়া বিষয়টি কেন্দ্র করেই এই আত্মহত্যার ঘটনাটি হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য সীমার স্বামী আরিফকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পর পর ফরিদগঞ্জ থানার ওসি, ওসি তদন্ত, সেকেন্ড অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সামনেই নিহত সীমা ও আরিফের স্বজনদের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। কিছুক্ষণ পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন