চাঁদপুর-৩; সেলিম চেয়ারম্যানকে তলব করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি
চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার নির্বাচনী স্টেজ ও চেয়ার টেবিল ভাংচুরসহ আচরণ বিধি লঙ্ঘনজনিত বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খানকে তলব করেছেন নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুরের যুগ্ম জেলা জজ পারভেজ আহম্মেদ আচরণ বিধি লঙ্ঘনজনিত ব্যাখ্যা চেয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে চেয়ারম্যান সেলিম খানকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
ওই নোটিশে চেয়ারম্যান সেলিম খানকে উদ্দেশ্যে করা বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি আপনি ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়ার পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বহরিয়া বাজারে নির্বাচনি সভাস্থলে তিনি সভায় পৌঁছার পূর্বেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডাঃ দীপু মনির সমর্থক হিসেবে আপনার নেতৃত্বে ও উপস্থিতিতে তার নির্বাচনি স্টেজ ও চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেন। নৌকা মার্কার স্লোগান দিয়ে আপনি এবং আপনার নেতাকর্মীগণ তার গাড়ি বহরের চারপাশ ঘিরে রাখেন এবং বিশঙ্খলা সৃষ্টি করর লক্ষে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। আপনি তাদেরকে হুমকি প্রদান করে বলেন, ‘‘তোদের সায়েস্তা করার জন্য এক বস্তা অস্ত্র মজুদ আছে।”
এছাড়া আপনি আপনার ইউনিয়নের কোথাও ‘ঈগল’ প্রতীকের মাইকিং, পোস্টার, ব্যনার, লিফলেট ইত্যাদি প্রদর্শন এবং বিলি করতে বাধা প্রদান করেছেন। প্রচার কার্যে কেউ গেলেই ‘ঈগল’ প্রতীকের সমর্থকদেরকে বেধড়ক মারধর করে আপনার বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক বেঁধে রাখেন এই মর্মে তিনি অভিযোগ করেন।
উপরন্ত আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত একাধিক রিপোর্ট ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া অভিযোগ আকারে পেশ করেছেন। এছাড়াও তিনি তার অভিযোগের সমর্থনে কতেক সাক্ষ্য প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন