চার বছর পর টেস্ট একাদশে ফিরলেন রাজ্জাক

জাতীয় দলে ফিরে আসতে পারবেন, এ ধারণাই হয়তো ছিল না। বিশ্বাসটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন অভিজ্ঞ স্পিনার আবদুর রাজ্জাক রাজ। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্স করার পরও। কারণ, অনেকেই তো দারুণ পারফরম্যান্স করে থাকেন; কিন্তু একবার হারিয়ে গেলে কী জাতীয় দলে আর তার খোঁজ মিলে!

গত চারটি বছর আবদুর রাজ্জাক শুধু বাতিলের খাতায় যাননি, বিস্মৃতও হয়ে গিয়েছিলেন বলতে গেলে। ৩০, ৩৫ জনের প্রাথমিক স্কোয়াডেও কখনো জায়গা হয় না রাজ্জাকের। উপেক্ষিত হতে হতে রাজ্জাকের বিশ্বাস জন্মে গেছে, জাতীয় দলের দরজা চিরতরে তার জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। এই দরজা খোলার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই।

কিন্তু নিয়তি বলে তো একটা কথা আছে। সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনার বিষয়ে তো মানুষের সাধারণ জ্ঞানই থাকার কথা নয়। সে কারণেই হয়তো, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বাম হাতের কনিষ্ট আঙ্গুলে চোট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট খেলতে পারছেন না তিনি। সে কারণেই হয়তো, হঠাৎ ডাক পেয়ে গেলেন আবদুর রাজ্জাক।

কিন্তু জাতীয় দলে ডাক পেলেও একাদশে ফেরাটা তার জন্য কিছুটা বিলম্বিতই হলো। চট্টগ্রাম টেস্টে বসেছিলেন দর্শক সারিতে। অবশেষে ঢাকা টেস্টে একাদশে ঠাঁই মিললো আবদুর রাজ্জাকের। চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা সানজামুল ইসলামকে তো ঢাকা টেস্টের দলেই রাখা হয়নি। তখন থেকেই আলোচনায় ছিলেন, তৃতীয় স্পিনার হিসেবে হয়তো সুযোগ মিলতে পারে রাজ্জাকের। যদিও তানবীর হায়দার থাকার কারণে কিছুটা সংশয় ছিল।

২০১৪ সালের ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই চট্টগ্রাম টেস্ট খেলেছিলেন রাজ্জাক। এরপর থেকে তিনি টেস্ট দলের বাইরে। সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ঠিক চার বছর পর আবারও টেস্ট দলের ক্যাপ মাথায় পরলেন তিনি। যদিও টেস্ট ক্যারিয়ার এতটা সমৃদ্ধ নয় তার। ১২ টেস্টে ৭৬.৩৯ গড়ে নিয়েছেন মাত্র ২৩টি উইকেট। সেরা ৯৩ রানে ৩ উইকেট।

তবে সম্প্রতি ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হয়েছেন ৫০০ উইটের গর্বিত মালিক। দেখা যাক, অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি সাকিব আল হাসানের শূন্যতা কতটা পূরণ করতে পারেন।

বাংলাদেশ একাদশ

তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন দাস, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান, আবদুর রাজ্জাক, তাইজুল ইসলাম এবং মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ

দিমুথ করুনারত্নে, কুশল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, রোশেনা সিলভা, দিনেশ চান্ডিমাল (অধিনায়ক), নিরোশান ডিকভেলা, দানুশকা গুনাথিলাকা, দিলরুয়ান পেরেরা, আকিলা ধনঞ্জয়া, রঙ্গনা হেরাথ, সুরঙ্গা লাকমাল।