চার মাস পর চাল আমদানি শুরু, মাত্র এক সপ্তাহেই ১,৭৮৫ টন ঢুকল দেশে

ভারত থেকে প্রতিদিনই ট্রাকে ট্রাকে চাল আসছে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে। মাত্র সাত দিনে (২১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর) এই বন্দর দিয়ে ৫১টি ট্রাকে মোট ১,৭৮৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।
সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় ভোক্তারা কেজিপ্রতি অন্তত ৫-৬ টাকা কম দামে চাল কিনতে পারছেন।
আমদানিকারকরা জানান, সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়েই তাঁরা আমদানি অব্যাহত রেখেছেন। যদিও ভারতের বাজারে আগাম দাম বৃদ্ধির কারণে তেমন লাভ হচ্ছে না।
বেনাপোল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সম্প্রতি চালের দামে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। সম্পা কাটারী চাল কেজিতে ৭২ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৭-৬৮ টাকায়, স্বর্ণা ৫৫ থেকে নেমে এসেছে ৫২ টাকায়, আর আঠাশ বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়। দিনমজুর শ্রেণির ক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে চাল আসায় দাম কমেছে, আরও কমার আশা করছি।
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, গেল এক মাস আগে ইরি-বোরো মৌসুম শেষ হলেও বাজারে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১২ আগস্ট থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়, এরপর থেকেই ভারতীয় চাল আসতে শুরু করে।
আমদানিকারক আব্দুস সামাদ, স্বত্বাধিকারী গনি এন্টারপ্রাইজ, বলেন, ভারত থেকে চাল আসায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমবে। আরেক আমদানিকারক শামীম আহমেদ জানান, লাভ না হলেও বাজার স্বাভাবিক রাখতে তাঁরা আমদানি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বেনাপোল বাজারের খুচরা বিক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, গত ১০-১২ দিন আগে যে চাল ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন সেটাই ৬৭-৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।
বন্দর পরিচালক শামীম হোসেন জানান, সাত দিনে মোট ১,৭৮৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২১ আগস্ট ৯ ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন, ২৪ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ মেট্রিক টন, ২৭ আগস্ট ১২ ট্রাকে ৪২০ মেট্রিক টন, ২৮ আগস্ট ৩ ট্রাকে ১০৫ মেট্রিক টন, ৩০ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ মেট্রিক টন, ৩১ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ মেট্রিক টন এবং ১ সেপ্টেম্বর ৯ ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, আগের ৬৩ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে এখন মাত্র ২ শতাংশ এআইটি ডিউটি নির্ধারণ করায় বিপুল পরিমাণ চাল আসছে দেশে। ফলে একদিকে যেমন রাজস্ব আদায় হচ্ছে, অন্যদিকে বাজারে স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, চার মাস বন্ধ থাকার পর চাল আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন