চালক সংকটে জবির পরিবহন খাত
অনাবাসিক তকমাযুক্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলে ১% শিক্ষার্থী থাকলেও বকি ৯৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে বিভিন্ন জায়গা থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি অবস্থাকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমেও আসলেও দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থা। শুধু শিক্ষার্থীই নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত ও নিজস্ব মাইক্রোবাস ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে বি.আর.টি.সি থেকে ভাড়াকৃত দ্বিতল বাস রয়েছে শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য। এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৫৬ টি বাস থাকলেও চালক আছে কেবল ৪১ জন। যাদের মধ্যে কেবল ১৯ জন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত আর বাকীরা চুক্তিভিত্তিক ভাবে সহায়তা করছে। চালকের পাশাপাশি নেই সহযোগীও। সহযোগী সংকট থাকায় বাস চালকের অভিযোগ যেমন আছে তেমনি আছে নানা সমস্যায় পড়ারও অভিযোগ।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে কর্তরত অফিস সহকারীরা বিভাগের কাজের পাশাপাশি বাসে সহযোগী হিসেবে সাহায্য করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে দশ বছরের বেশী সময় ধরে নিয়োজিত থেকে চাকুরী নিশ্চিত নয় অনেক চালকের। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী পদ না আসায় চাকুরী স্থায়ী করা সম্ভব হচ্ছে বলে প্রশাসনিকভাবে বারবার বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সংকটের মধ্যে চালকে সংকটের বিষয়টা লক্ষনীয়। দেখা য়ায় বিভিন্ন বিভাগের প্রয়োজনে বাস দরকার পড়লেও তা সরবরাহ সম্ভব হয় না চালকের অভাবে। যদিও পরিবহন পুল সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ব্যবস্থা করার। তবে চালকের কথা চিন্তা করে তা প্রায়ই দেওয়া সম্ভব হয় না। বাসের জন্য নির্দিষ্ট সহযোগী না থাকায় বাস পরিস্কার করা বাসের সমস্যা গুলো দেখে তা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া এসব কাজ প্রায়ই ব্যাহত হয়। ‘
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলের প্রশাসক অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ কুমার ভৌমিক বলেন, “হ্যাঁ, বিশ্ববিদ্যালয়ে চালক সংকট আছে। আমাদের একজন চালক মারা গেসেন। দুই জন চাকরি ছেড়ে চলে গেসেন। আর অন্যান্য যারা অনুপস্থিত তারা আদৌ কাজে ফিরবেন কিনা তা জানা নেই। কেউ কেউ অসুস্থ থাকায় বাস চালাতে পারে না। তখন সবগুলো রুটে বাস দেওয়া কষ্টকর হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালে ১৪ জন নতুন চালককে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচিত করা হলেও তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয় নি। তবে বর্তমান উপাচার্য মহোদয় এ বিষয়টি নিয়ে জানান যে প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এখন উপাচার্য মহোদয় অসুস্থ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় তা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করার।”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন