চালের বাজার স্বাভাবিক : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চালের বাজার এখন স্বাভাবিক। বাজারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দামও স্থিতিশীল আছে।
রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলাদা দুটি প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরুর পর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা-৪ আসনের সাংসদ এস এম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পণ্য ও খাদ্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনে হয়রানি সৃষ্টিকারী অসাধু আড়তদার ও ফড়িয়াদের সিন্ডিকেট দমন করতে সরকার সক্ষম হয়েছে। এ ধরনের সিন্ডিকেট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভোক্তারা সহনীয় মূল্যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কিনতে পারছেন। এ ছাড়া বাজারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সিন্ডিকেট গড়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে কাজ করার জন্য সরকার প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করেছে।
এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি চালের দাম বাড়ার কারণ ও তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, চালের বাজার এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, আবার ধান উঠলে চালের আমদানি শুল্ক বসাতে হবে। তা না হলে চাল আমদানি হতেই থাকবে। কৃষকেরা ধানের মূল্য পাবেন না।
সরকারি দলের এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, এখন ১৫ হাজার ১৪৯ বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশে কারাবন্দী আছেন। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ৮১০ জন বাংলাদেশি কারাগারে আটক বা বিচারাধীন আছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের বিভিন্ন শ্রম উইং থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯৭৭ জন, কুয়েতে ৩৮৪ জন, কাতারে ৩০৯ জন, লিবিয়ায় ২৩৯ জন, ওমানে ৬৬১ জন, সৌদি আরবে ১০ হাজার ৮৮৫ জন, সিঙ্গাপুরে ৮৪ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৭ জন, ইরাকে ১১৫ জন, ইতালিতে ১৩৪ জন, জাপানে ২৩ জন, জর্ডানে ৫৯ জন, গ্রিসে ২৫৭ জন, মিসরে ৪ জন, মালদ্বীপে ১২৪ জন, হংকংয়ে ৭৯ জন, থাইল্যান্ডে ১ জন, মরিশাসে ৭ জন।
নুরুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রশ্নের জবাব দেন।
চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে কর্মী নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো রাষ্ট্রে চাহিদার চেয়ে বেশিসংখ্যক কর্মী গমনে স্যাচুরেটেড হওয়ায় সেসব দেশে কর্মী গমন তুলনামূলক কম। কিন্তু কর্মী গমন বন্ধ নেই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সৌদি আরবে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৭১৩ জন, কাতারে ৭০ হাজার ৪৪০ জন, ওমানে ৭৪ হাজার ৯৪৩ জন, কুয়েতে ৪২ হাজার ৩১ জন, বাহরাইনে ১৮ হাজার ৪১০ জন, জর্ডানে ১৭ হাজার ৮১৯ জন, লেবাননে ৭ হাজার ১১৪ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ হাজার ৪৮২ জন, ইরাকে ৩ হাজার ৪৮২ জন কর্মী গেছেন।
বগুড়া-৫ আনের সাংসদ মো. হাবিব রহমানের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের গুদামজাত মজুতের পরিমাণ ৫ দশমিক ৭৭ লাখ টন। সরকারি পর্যায়ে গুদামের খাদ্যশস্যের ধারণক্ষমতা ২০ দশমিক ২৩ লাখ টন। ধারণক্ষমতা ৩০ লাখ টনে উন্নীত করার কাজ চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন