চালের মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেটদের এখনই নিয়ন্ত্রন করুন : বাংলাদেশ ন্যাপ
হঠাৎ করেই আবার চালের মূল্যবৃদ্ধি অশুভ ইংগিত বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃত্ব বলেছেন, এই সময় দেশে কোনো বন্যা, খরা, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকলেও চালের এই শূল্যবৃদ্ধির ফলে বিপাকে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। নানা অজুহাতে চালের মূল্যবৃদ্ধির পেছনের সিন্ডিকেটদের এখনই নিয়ন্ত্রন করতে সরকারকে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া সরকারের নিকট এই আহ্বান জানান।
তারা বলেন, সরকারের নজরদারির অভাবেই ব্যবসায়ীরা যখন-তখন চালের মূল্য বাড়াচ্ছেন। বাজারে নতুন চাল উঠছে এই সময় চালের মূল্য বাড়ারও কোনও কারণ নেই। কাজেই খুচরা বাজারে যদি চালের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে যারা বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, চালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্গতি বৃদ্ধি পাবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই অসৎ ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার জন্য সুযোগ গ্রহণ করে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে লুট করতেই চালের মূল্যবৃদ্ধি করছে। কোনও কারণ ছাড়া অনৈতিকভাবে যারা মুনাফা করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত দ্রুত সময়ের মধ্যে।
তারা বলেন, এই সরকারের আগের আমলেও এভাবে বাজারে কারসাজি করে চালের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী ঢাকা-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, দায়ীদের খুঁজে বের করে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে জনগন জানে না। যারা অপকর্ম করে তাদের যদি বার বার ছাড় দেওয়া হয় তাহলে এই ঘটনা বার বার ঘটবে। এই সময় চালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণই খুজে পাওয়া যাবে না। এর পেছনে অসৎ ব্যবসায়ী ও বাজার সিন্ডিকেটের কারসাজি রয়েছে। সরকার দ্রুত এদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে চলে আসতে বাধ্য।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন