চিকিৎসক সেজে রোগীদের থেকে টাকা নিতেন পাপিয়া

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) জুনিয়রচিকিৎসক পরিচয় দিয়ে অপারেশন করিয়ে দেওয়ার নামে রোগীর স্বজনদের থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে। তার নাম পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা (২৫)। আজ রবিবার বিকেলে ঢামেক হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযোগকারী রোগীর স্ত্রী কল্পনা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী নুর আলমের গলায় টিউমার হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্নস্থানে চেষ্টা করেছিলাম। পরে আমার দেবরের মাধ্যমে পাপিয়া আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, স্বামীর অপারেশন দ্রুত করিয়ে দিতে ৩০ হাজার টাকা লাগবে। ওই চুক্তি মোতাবেক গত বুধবার ২৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ওই দিন তিনি নাক-কান-গলা বিভাগে আমার স্বামীকে ভর্তি করিয়ে দেন। আজ চুক্তির বাকি ২ হাজার টাকা তাকে পরিশোধ করা হয়েছে।’

স্বর্ণা নিজেকে ঢামেকের ছাত্রী ও জুনিয়র চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে কথা বলায় ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসকের সন্দেহ হয়। পরে আনসারকে ডেকে স্বর্ণাকে ধরিয়ে দেন ওই চিকিৎসক।

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মেয়েটি একজন দালাল। তিনি জেনেশুনে স্বর্ণা নামে এক মেডিকেল শিক্ষার্থীর নাম ব্যবহার করে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করতেন। ওই দালাল নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।’

নিজের দোষ স্বীকার করে পাপিয়া বলেন, ‘আমি তাদের চিকিৎসা করিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছি। ইউনিফর্ম পরা ও মেডিকেল শিক্ষার্থীর পরিচয় দেওয়াটা আমার ভুল হয়েছে। এ জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেয়েটি আটক করে ভুক্তভোগীসহ আমাদের কাছে সোপর্দ করেন। পরে আমরা শাহবাগ থানায় পাপিয়াকে সোপর্দ করি।’

প্রসঙ্গত, পাপিয়ার বাড়ি নরসিংদীর মনোহরদী। তিনি স্বামীর সঙ্গে রাজধানীর বকশি বাজারে থাকেন।