চিকিৎসার অভাবে ঝুঁকিতে জাহিদুলের জীবন, সমাজের সহায়তা চায় পরিবার

জীবনের সবচেয়ে রঙিন সময়টুকু যেখানে একজন তরুণ স্বপ্ন গড়ে, ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় ব্যস্ত থাকে, ঠিক তখনই পুটল গ্রামের জাহিদুল ইসলামের (২৮) জীবনে নেমে এসেছে এক অন্ধকার অধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি এখন মৃত্যু আর বেঁচে থাকার লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত হার মানছেন।

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের এই তরুণ এক সময় খুব স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। কিন্তু কয়েক বছর আগে হঠাৎ করেই দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হলে শুরু হয় তার চিকিৎসার লড়াই। পরিবার প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা শুরু করলেও ধীরে ধীরে খরচ বাড়তে থাকে, যা তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

জাহিদুলের বাবা মিস্টার আলী জানান, “ছেলের অসুস্থতা ধরা পড়ার পর প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসা করানো হয়েছিল। এরপর রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। আমরা নিজেরা যা ছিল সব ব্যয় করেছি। এক সময় গ্রামের মানুষ ও আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় চিকিৎসা চলছিল, কিন্তু সেই সহায়তাও এখন বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তো চোখের একটি অংশ নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারলে হয়তো এ অবস্থায় পৌঁছাতো না।”

বর্তমানে জাহিদুল বাড়িতেই বিনা চিকিৎসায় পড়ে আছেন। কোনো ধরনের ইনকাম না থাকায় সংসারেও দেখা দিয়েছে অভাব-অনটন। দীর্ঘদিন কাজ করতে না পারায় পরিবার একেবারেই অর্থ সংকটে পড়ে গেছে।

জাহিদুলের মা বলেন, “আমার ছেলে বাঁচতে চায়। সুস্থ হয়ে আবার সমাজে স্বাভাবিকভাবে চলতে চায়। কিন্তু আমাদের পক্ষে তো চিকিৎসার খরচ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব না। সমাজের সহানুভূতিশীল মানুষদের যদি পাশে পাই, তাহলে হয়তো আমার ছেলে আবার সুস্থ হবে।”

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জাহিদুলকে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারলে তার রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন একমাত্র বড় অঙ্কের অর্থ যা পরিবারের একার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।

এই অবস্থায় জাহিদুলের পরিবার সমাজের হৃদয়বান, বিত্তবান ও সহানুভূতিশীল মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে – মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন। একজন তরুণের জীবন বাঁচাতে এখনই প্রয়োজন আমাদের সক্রিয় সহযোগিতা।

সহযোগিতা পাঠাতে যোগাযোগ করুন:
নিশান খাঁন, মোবাইল (বিকাশ/নগদ): ০১৯৯৪-৭১০০৭২ বি.দ্র: সাহায্য করার আগে অনুগ্রহ করে একবার ফোনে কথা বলে নেবেন।