চীন থেকে ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার অনুমোদন

জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে চীনের সিনোফার্মের তৈরি আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি জানান, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই এ টিকা দেশে আসবে।

অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি ২৭তম সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম থেকে ৬০ মিলিয়ন ডোজ করোনা টিকা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) চুক্তিপত্রে উল্লিখিত একক মূল্যে ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সিনোফার্ম থেকে ৬০ মিলিয়ন (৬ কোটি) ডোজ টিকা ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছি। হিসাব করে দেখেছি দেশের ১৩ কোটি ৮২ লাখ জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিনেটেড করতে হবে। তার জন্য ২৭ কোটি ৬৫ লাখ টিকা কেনা প্রয়োজন। এর মধ্যে ২ কোটি ৫৫ লাখ আমাদের হাতে আছে। বাকিটা সংগ্রহ করতে হবে। আজ আমরা ৬ কোটি ডোজ কেনার জন্য অনুমোদন দিয়েছি। বাকিটা পর্যায়ক্রমে আনবো।

টিকার দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম বলব না। আগের নির্ধারিত যে দাম আছে তার চেয়ে বাড়েনি।

সবমিলে যে ২৭ কোটি ডোজ টিকা লাগবে তার জন্য সরকারের কত টাকা লাগতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ প্রাইসটি আমাদের কাছে নেই। কারণ বাকিগুলো এখনও নেগোসিয়েশন চলছে। প্রাইস ফাইনালাইজড হলে আমরা বলতে পারবো। প্রাইস এখনও ফাইনালাইজড হয়নি, সে জন্য আমরা বলতে পারছি না।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২২তম এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৭তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইকোনোমিক অ্যাফিয়ার্স কমিটির অনুমোদনের জন্য দু’টি এবং পারচেজ কমিটির অনুমোদনের জন্য ১০টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। পারচেজের প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তিনটি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দু’টি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একটি, সেতু বিভাগের একটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাবনা ছিল।

পারচেজ কমিটির অনুমোদিত ১০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৯টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৭৮৪ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৬৪৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৪১৯ কোটি ৫৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৬ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ ৩৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৯ হাজার ১৫০ টাকা।