চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রের মুখে ব্যবসায়ীকে জিম্মি; নগদ টাকা লুট

কোটাবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের পর থেকে সারাদেশেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নুইয়ে পড়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সাথে কিছু পুলিশ সদস্য জড়িত থাকায়-বিভিন্ন জটিলতায় স স থানায় জননিরাপত্তা কার্যক্রম কমে গেছে। বিধায় জন্ম নিয়েছে নানা অপরাধ। যা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পত্রিকাসহ টিভি চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায়ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) জীবননগর উপজেলার নারায়ণপুর-গঙ্গাদাশপুর সড়কে আনুমানিক রাতে ১১টার দিকে এঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মাঝের পাড়ার বাবলু রহমান জীবননগর বাজারের একজন মুদি ব্যবসায়ী। তিনি আনুমানিক রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে একাই বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নারায়ণপুর-গঙ্গাদাশপুর সড়কের সীমান্ত ব্রিক্সের নিকট ছিনতাইকারী সড়কে আগে থেকেই আড়াআড়িভবে রশি টানিয়ে রাখেন।

দড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগলে বাবলু সড়কের ওপর পড়ে যায়। ৩-৪ জন ছিনতাইকারীরা আগে থেকে ওৎ পেতে থাকাবস্থায় দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার কাছ থেকে ৩-৪হাজার নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্ধকার থেকে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন তারা। শব্দ শুনে কয়েকজন মিলে এগিয়ে এলে দেখেন কয়েকজন পালিয়ে যাচ্ছে, সড়কে আড়াআড়ি ভাবে দড়ি বাধা, মোটরসাইকেল ও বাবলু পড়ে আছে। কাছে এসে জানতে পারেন ছিনতাইকারীরা তার নিকট থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকানী জানান, এখানে প্রায় সময়ই এ রকম ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। তবে ঈদের সময় এলেই কয়েকদিন পরপরই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি জোরদার না করলে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হবে তেমনী আইনশৃঙ্খলার প্রতি আস্থা হারাবে মানুষ। জীবননগর এলাকায় মানুষের নিরাপত্তার দায়বদ্ধতা থেকে পুলিশ সদস্যের টহল বাড়ানোর মধ্যদিয়ে অপরাধমুক্ত এলাকায় পরিণত করার দাবি তুলেছে সচেতন মহল।