চুয়াডাঙ্গায় দুই গরু ব্যবসায়ীকে হত্যা করলো বিএসএফ
চুয়াডাঙ্গায় ২ গরুব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদি সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮২ নম্বর প্রধান খুঁটি সংলগ্ন ভারতের ৩০ গজ অভ্যন্তরে বিজয়পুর সীমান্ত এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় তাদেরকে। নিহত গরুব্যবসায়ী সাজেদুর রহমান (২৭) দামুড়হুদা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে ও খাজা মইনুদ্দীন (৩০) শরীয়ত উল্লাাহর ছেলে।
এ হত্যার বিষয়ে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম জানান, শনিবার বেশ কয়েকজন গরুব্যবসায়ী দিবাগত রাতে বাড়াদি সীমান্ত পার হয়ে অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে যান।
সেসময় ভারতের বিজয়পুর সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ৩২ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের গোবিন্দপুর বিওপির সদস্যরা। সেসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা হন সাজেদুর রহমান ও খাজা মইনুদ্দীন। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
নিহত খাজা মইনুদ্দীনের বড়ো ভাবি রুপালী খাতুন জানান, খাজা মইনুদ্দীন আমার দেবর হন। তিনি শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে পার্শবর্তী দোকানে চা খেতে যায়। পরবর্তীতে তিনি আর বাড়িতে না ফেরায় আমরা চিন্তিত ছিলঅম। পরদিন রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে শুনি ভারতে গরু আনতে গিয়ে দেব বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন খাজা মঈনুদ্দীন।
এ বিষয়ে নিহতদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে মতে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের গুলি করে হত্যা করে।
বিজিবি-বিএসএফ একপর্যায়ে আলোচনা ও আইনগত প্রক্রিয়া মেনে নিহত ব্যক্তিদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
বিষয়টি জানতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমানের মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন