চুয়াডাঙ্গায় বরকে গণধোলাই দিলো কনেপক্ষ
বিয়ে করলে বরপক্ষ কনেপক্ষের বাড়িতে গিয়ে বউ আনবে এটাই স্বাভাবিক। এছাড়াও বিয়েসাদিতে আনন্দ সুখ অনুভূতি সৃষ্টি হয় প্রতিটি বরেরই। কিন্তু সেই আনন্দ সুখ আর কপালে জোটেনি বরের। অবশেষে কনেপক্ষের কাছে গণধোলাই খেয়ে বাড়ি ফেরে প্রবাসী এক যুবক।
সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর আগে মোবাইলফোনের মাধ্যমে প্রবাসী রফিকুল ইসলামের সাথে চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের শৈলগাড়ী গ্রামের এক নারীর বিয়ে হয়। প্রবাসী বর দেশে ফিরে আসার পর গতকাল (৩১ মে) শুক্রবার সে বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন চলছিল। কথা ছিল, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে কাবিন সম্পন্ন হবে। কিন্তু বর পক্ষের লোকজন সে কথা উল্টিয়ে ফেলে।
তাদের দাবি, ৫ হাজার টাকায় দেনমোহর করতে হবে।
সেসময় কনেপক্ষের সাথে বরপক্ষের মধ্যে চলে দেনমোহরের অর্থ নিয়ে দর কষাকষি ও কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বর রফিকুল বলে বসেন, ‘দরকার হলে দেড় লাখ টাকা দিয়েই কাবিন করবো, কিন্তু আজই টাকা পরিশোধ করে বউ তালাক দিয়ে যাবো।’ এ কথা শোনার পর কনেপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেসময় রাগান্বিত হয়ে স্থানীয় জনতার রোষানলে পড়ে বরপক্ষ। একপর্যায়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয় বর রফিকুল ইসলাম।
পরে ৯৯৯—এ কল দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসে বরপক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। প্রবাসী বর রফিকুল ইসলাম আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ী গ্রামের আশরাফুল মালিথার ছেলে।
দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা সদর থানার এসআই রাজীব জানান, খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও তার স্বজনদের থানায় নেয়া হয়। পরে রাতে দু’পক্ষই মীমাংসা করে নিয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন