চুয়াডাঙ্গায় রমজানই ব্যবসায়ীদের টার্গেট

বর্তমানে বাজার অনিয়ন্ত্রণে থাকার পর আসন্ন রমজানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর জোর তাগিদ চলছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এরইমধ্যে রমজান পণ্য হিসেবে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, বেসন ও খেজুরের গুদামজাত করে তা রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রি করার আশায় স্বপ্ন দেখছে চুয়াডাঙ্গার ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, লিটারে ১০ টাকা বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম।
গতকাল (৩১ জানুয়ারী) শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে সয়াবিন তেল লিটারে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা বাজারের সয়াবিনের দাম ১৯৫ টাকা। বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৮৫ টাকা।

বাজারে চিনি, ছোলা, বেসন ও খেজুরের দাম কিছুটা কমলেও বর্তমানে ১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনি, ১২২ টাকা কেজিতে ছোলা, ৬৬ টাকায় বেসন আর খেজুরের দাম গড়ে ৫৪০ টাকা কেজি।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে, এসব পণ্যগুলোর দাম এখন কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও গুদামজাত করার গুঞ্জনে বাড়তে পারে তেল, ছোলা, চিনি, বেসন ও খেজুরের দাম।

অপরদিকে, গত সপ্তাহের বাজার অনুযায়ী আলু পেঁয়াজ আদা মরিচসহ সব প্রকার কাঁচা সবজির দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। সবজির বাজার ও আমিষের দামের মধ্যে গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই রয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহের দাম অনুযায়ী সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা হয়েছে। আর প্যারিস মুরগির দাম ৪০০ টাকা কেজি। বাজারে বড় মাছের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কম। কিন্তু ছোট মাছের পর্যাপ্ত আমদানি থাকা সত্ত্বেও কেজিতে ৩০ টাকা বেশি।
বাজারে আসা এক ক্রেতা হাকিমুর রহমান বলেন, রোজার মাস আসছে। এখন থেকে আমিষের বাজারে দাম বেশি। তেলের দাম নাগালের মধ্যে আসেনি। সবমিলিয়ে রোজার মাসে যে কি হবেনে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

আরেক ক্রেতা মিরাজুল হোসেন বলেন, বাজারের কোন ব্যবসায়ি পণ্যের দামের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করে না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত। বাজার এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার পরিদর্শক সহিদুল ইসলাম বলেন, আসন্ন রমজান মাসের আগে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আলোচনা চলছে। বাজারে কোনরকম যাতে পণ্যের দামে ক্রেতাদের অস্বস্তি না হয় সেজন্য বাজার তদারকি জোরদার করা হবে। বর্তমানে বাজারদর স্বাভাবিক রয়েছে। ন্যায্যমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম নিলে ব্যবসায়ীরেদ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একই সাথে পণ্যের সঠিক মূল্য তালিকা প্রদর্শন করার জন্যও ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হচ্ছে।