চুরির অভিযোগে শিশুকে দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় সিগারেটের প্যাকেট চুরির অভিযোগে এক শিশুকে দড়ি দিয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার শিশুটির নাম মো. মাজাহারুল ইসলাম (৮)। তার বাবা মো. আজাহারুল ইসলাম পৌর শহরের বাসিন্দা। তিনি শ্রমিকের কাজ করেন।
রোববার দুপুর দুইটার দিকে মদন উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে শান্ত মুন্সির দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে মদন এলাকা থেকে শিশু মাজাহারুল উপজেলা পরিষদের সামনে যায়। এ সময় শান্ত মুন্সির দোকান থেকে সিগারেটের একটি প্যাকেট হাতে নেয় শিশুটি। টের পেয়ে দোকানদার শিশুটিকে ধরে দোকানের পাশে একটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন শিশুটির বাঁধন খুলে দেন।
দোকানদার শান্ত মুন্সি বলেন, ‘শিশুটি দোকান থেকে সিগারেটের প্যাকেট চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তাকে আটক করে কিছু সময়ের জন্য গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। তাকে মারধর করা হয়নি।’
শিশুটির বাবা আজাহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যবসায়ী শান্ত মুন্সি আমার ছেলেকে চুরির অপবাদ দিয়ে এক ঘণ্টার মতো বেঁধে রেখেছেন। তাঁকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ কার কাছে বিচার চাইব।’
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমানকে ফোন করা হলেও উপপরিদর্শক মো. মারুফ তাঁর ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি প্রথমে আমাদের কেউ জানায়নি। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আমরা কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে শান্ত মুন্সিকে পাওয়া যায়নি। তাঁর সঙ্গে থাকা দোকানদারেরাও মুখ খোলেননি। শিশুটিও বাড়িতে ছিল না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন