চুল গজায় কত বছর বয়স পর্যন্ত?
চুল নিয়ে সমস্যা কমবেশি সবারই আছে। তাই চুল টিকিয়ে রাখতে চিন্তার শেষ নেই। যাদের চুল পাতলা বা টাক হয়ে গেছে, তারা নতুন গজানোর জন্য কত কী-ই না করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, ঠিক কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজাতে পারে?
স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিন কিছু না কিছু চুল পড়বেই। তবে চুল পড়ার পাশাপাশি নতুন চুল যদি না গজায়, তখনই চুল পাতলা হতে শুরু করে। এই নতুন চুল গজানোর বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করছে আপনার ওপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের শারীরিক গঠন ভেদে কত বছর বয়স পর্যন্ত চুল গজাতে পারে সেটি নির্ভর করে। তবে বৃদ্ধ বয়সেও মানুষের মাথায় নতুন চুল গজাতে পারে।
মাতৃগর্ভ থেকেই মানুষ চুল নিয়ে জন্মায়। এরপর নানা কারণে চুল ঝড়ে আবার পর্যায়ক্রমে গজায়। চুল ঝরে পড়া আর চুল গজানোর পার্থক্য দেখা দিলেই চুলের ঘনত্বের রকমফের হয়।
ডার্মাটোলোজিস্টরা বলছেন, চুল গজানোর চেয়ে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বেশি হলে মাথায় টাক পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। চুলও হতে শুরু করে পাতলা। এদিকে পুষ্টিবিদরা বলছেন আশার কথা। পুষ্টিবিদদের মতে, আপনি কী খাচ্ছেন, কীভাবে চুলের যত্ন নিচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে নতুন চুল গজাবে।
রূপবিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত্ন নিলে সবই সম্ভব। মলিন ত্বকও যেমন চাকচিক্য পায় তেমনি মাথায় গজাবে নতুন চুলও। কিন্তু শুধু তো যত্ন নিলে হবে না, জানতে হবে যত্ন নেয়ার সঠিক উপায়।
অনেক উপকারী উপাদানও সঠিক প্রয়োগের অভাবে ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক নতুন চুল গজানোর কার্যকর দুটি উপায়-
১। পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসের ঝাঁঝালো গন্ধ বিরক্তিকর লাগলেও এটি চুল পড়া কমাতে ও নতুন চুল গজাতে কাজ করে। কয়েকটি পেঁয়াজ ভালোভাবে বেটে তার রস মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর পানিতে ধুয়ে নেবেন। এভাবে ব্যবহার করুন সপ্তাহে ২-৩ বার। এতে চুল ও স্ক্যাল্পের অনেক সমস্যা দূর হবে। গজাবে নতুন চুল।
২। কালোজিরা ও মেথি: কালো জিরা ও মেথি প্রথমে রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তেলের এই মিশ্রণটি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। এটি প্রায় দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। সপ্তাহে তিনদিন এটি চুলে ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাবেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন