চু্য়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ৭ নেতাকর্মী কারামুক্ত; শহরে শোডাউন
টানা ১৫ দিন পর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ৭ নেতাকর্মীর মুক্তির বার্তা শোনার পর কয়েক’শ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারে করে জেলা কারাগারের সামনে জমায়েত হয় নেতাকর্মীরা। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জান শরীফসহ বিভিন্ন পদের নেতাকর্মী কারাগার থেকে বের হলে গাড়ীবহরে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে শোডাউন দিয়ে নিজ নিজ বাড়ীতে পৌছে দেয় বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
এর আগে জেল গেটে ফুলের মালা পরিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় তাদেরকে। ১০ জানুয়ারী মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য আবু বকর সিদ্দিক আবু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জেলা ছাত্রদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইমরান হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কৌশিক আহমেদ রানা ও সদস্য আরমান খান ও আইলহাস ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিলের কর্মসূচির প্রস্তুতিকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বিএনপি ও ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মী। এরমধ্যে গ্রেফতার হওয়া জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ মোঃ রাজীব খান আগাম জামিনে থাকায় পরের দিন মুক্তি পান। তবে সেসময় কারাগারে পাঠানো হয় বাকি ৭ নেতাকে।
ওইসকল নেতাকর্মীর মুক্তির সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনা, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপ্টন, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বাবলু, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, সদস্য সচিব তবারক হোসেন চেয়ারম্যান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব খান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন পারভিন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেনসহ বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেসময় এক প্রতিক্রিয়ায় সদ্য কারামুক্ত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, জেল জুলুম হুলিয়া দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন রোধ করা যাবে না। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন চলতেই থাকবে। বিএনপির ১০ দফা দাবীর ভিত্তিতে চলমান আন্দোলন আরো বেগবান করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন