চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির প্রত্যাশায় বিশেষ নামাজ ও দোয়া! তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ওঠানামা
চুয়াডাঙ্গা টানা প্রায় ১৭/১৮ দিন ধরে সূর্যের তাপে জনজীবন কাবু হয়ে পড়ছে। ঈদকে সামনে রেখে মানুষের চাহিদা বাড়লেও বাইরে বের হয়ে কেউই সঠিকভাবে কর্মদায়িত্ব পালন করতে পারছে না। রীতিমত যারা দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষ তাদেরকেও ঠিকমত দেখা যাচ্ছে না বাজার ঘাটে। রোদের এতো প্রখরতা বাড়ী থেকে বাইরে বের হলেই যেন আজাব মনে হচ্ছে সবার কাছে। সবার মুখে মুখে এখন শুধু তাপমাত্রার কথা।
বিশেষ করে চাষীদের জন্য মারাত্মক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে চুয়াডাঙ্গার কৃষকদের। গত ১৭-১৮ দিন ধরেই মৃদু, মাঝারী, তীব্রসহ অতি তীব্রগরম অর্থ্যাৎ ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। এতে করে ঈদকে সামনে রেখে জেলার পোশাক ব্যবসায়ীদের দিনের বেলায় তেমন একটা বেচাকেনা না থাকলেও সন্ধ্যার পর নিউ মার্টেট, আব্দুল্লাহ সিটি, প্রিন্সপ্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে ভিড় হচ্ছে বলে মার্কেট সূত্রে জানা গেছে। কোনো বৃষ্টির আভাসও পাওয়া যাচ্ছে আবহাওয়া অফিস থেকে। ফলে খেটে খাওয়া মানুষসহ সবচেয়ে মহাবিপাকে পড়েছে। সংসার জীবনেও পড়ছে প্রভাব। এরই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় রহমতের বৃষ্টি চেয়ে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। মুফতি আব্দুর রাজ্জাক এ নামাজ ও দোয়ার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে চুয়াডাঙ্গা উলামা পরিষদ।
নামাজে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মুসুল্লিরা সমবেত হন টাউন ফুটবল মাঠে। নামাজ শেষে বৃষ্টির প্রত্যাশায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গা ওলামা পরিষদের আয়োজন কমিটি জানিয়েছে, পরপর তিনদিন একই সময়ে একই স্থানে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বৃষ্টি হলেও নামাজ আদায় করা হবে। একইসাথে জেলা আলমডাঙ্গা উপজেলা এবং দর্শনাতেও বৃষ্টির প্রত্যাশা করে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন