চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল-পাখিভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে বৃদ্ধার মৃত্যু, আহত-৪
সড়ক আইনের সকল নিয়মকানুন বাস্তবায়ন না হওয়ায় চুয়াডাঙ্গায় প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে করে তাজা প্রাণের রক্তে লাল হচ্ছে সড়কের কালো পিচ।
এ বিষয়ে প্রায়ই স্থানীয় পত্রিকায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়তের অংশ হিসেবে মোটরসাইকেল-পাখিভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে নুরজাহান বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। সেইসাথে আহত হয়েছে নারীসহ আরোও চারজন।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দর্শনা ফায়ার স্টেশনের অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেসময় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় নূরজাহানসহ ৪ জনকে। পরে সদর হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যেই নূরজাহানের মৃত্যু হয়।
মৃত নুরজাহান বেগম (৬৫) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকুন্দবাড়ীয়া গ্রামের তামালতলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা মৃত দাউদ আলীর স্ত্রী।
আহতরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত. লাল মিয়ার স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৬০), মৃত. শমসের মণ্ডলের স্ত্রী জামেলা খাতুন (৫৫), মৃত ফয়েজ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে বাবলু (৪৫) ও মৃত ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী গঞ্জেরা বেগম (৫০)।
ঘটনাস্থলের পথচারিরা জানায়, দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি দ্রুত গতিতে চলছিল। এমন দর্শনা ফায়ার সার্ভিস প্রাঙ্গণে পৌঁছালে সামনে থেকে আসা একটি পাখিভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল চালকের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ভ্যানচালকসহ ৫ যাত্রী আহত হয়। দর্শনা ফায়ার স্টেশনে খবর দিলে তারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
দর্শনা ফায়ার স্টেশন থেকে জানা যায়, সকালে আমাদের স্টেশনের অদূরে মোটরসাইকেল-পাখিভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহতস্থায় নারীসহ ৫ জনকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিন ইসলাম বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নূরজাহানকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক আরও বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৩জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত রয়েছে।
দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজান বলেন, ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছি। সেখানে পৌঁছে বিস্তারিত বলতে পারব।
এ বিষয়ে জানতে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদের সরকারি নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যা সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন