চৃয়াডাঙ্গায় প্রথম স্বামীর টানে দ্বিতীয় স্বামীকে হত্যাচেষ্টায় ব্যর্থ : অতঃপর নিজেই হাসপাতালে
সমাজে অনেক পরিবারই আছে বয়স পার হতে না হতেই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে নানা জটিলতার কারণে আবার বিচ্ছেদও হয় পরিবার থেকেই। কিন্তু সে স্বামীর প্রতি যে মায়া ভালোবাসা জন্মে যায় সেটা অনেক পরিবারই তা বোঝে না। ফলে দ্বিতীয় বিয়ে দিলেও সে স্বামীর প্রতি ভালোবাসা আর জন্মায় না। প্রথম স্বামীর ভালোবাসা ঠিকই মনে বাসা বেধে থাকে স্ত্রীর।
নারী মানেই নরম চরিত্রের অধিকারী এটাও ভুলে যার অনেক পরিবারই। যার কারণে মায়া ভালোবাসা কোনটাই দ্বিতীয় স্বামীর প্রতি জন্মায় না। এছাড়া সমাজে প্রচলিতও আছে প্রথম প্রেম ও ভালোবাসা কখনও ভোলা যায় না। তেমনটাই হয়েছে ২০ বছর বয়সী নববধূ সুমাইয়া খাতুনের। অজ্ঞাত এক যুবকের সাথে বিয়ে সুমাইয়ার। পরে তালাকও হয় বিভিন্ন কারণে।
পরে পরিবার থেকে আবার দেড় মাস আগে বিয়ে দেয় দ্বিতীয় স্বামী মনিরুল ইসলামের সাথে। কিন্তু প্রথম স্বামীর ভালোবাসার টান রয়েই যায় নববধূ সুমাইয়া খাতুনের। ফলে দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে আসলেও মনের সমম্ত ভালোবাসা থেকেই যায় প্রথম স্বামীর ওপর। যার কারণে দাম্পত্য জীবনে শুরু হয় নানা অশান্তি। না পারে দ্বিতীয় স্বামীকে ছেড়ে যেতে না পারে তালাক দিতে। জটিল সমস্যার মধ্যদিয়ে জীবন পার করলেও দ্বিতীয় স্বামীকে মেনে নিতে পারেনা নববধূ সুমাইয়া। বিয়ের দেড়মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ম্বামী মনিরুলকে মন থেকে মেনে নিতে না পারায় প্রায়ই খাদ্যে বিষমিশ্রিত দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায় বলে দাবী শ্বশুর বাড়ীর পরিবারের।
জানা গেছে, মাত্র দেড় মাস আগে ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার মামুনশিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের সাথে (২০) বিয়ে হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে মনিরুল ইসলামের সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় কলহ। প্রায় স্বামী মনিরুলকে কৌশলে হত্যার অপচেষ্টা চালায় স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন। এদিন মনিরুল বাজার থেকে দুইটি স্পিড কোমল পানি কিনে নিয়ে আসে বাড়িতে। সেসময় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সুমাইয়া খাতুন ওই কোমল পানিতে একটি বোতলে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে খাওয়াবে বলে রেখে দেই। বিধিবাম কিন্তু ওই কোমল পানি ভুল বশতঃ সুমাইয়া খাতুন নিজেই পান করে ফেলে। পরে সুমাইয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জের সাহাপুর গ্রামে রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মনিরুলের মা মানোয়ারা খাতুন জানান, আমার ছেলের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন তার প্রথম স্বামীর সাথে যোগাযোগ রাখেন, এই বিষয়টি আমার ছেলে জানতে পারায় তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়। ইতোমধ্যে সুমাইয়া খাতুন তার স্বামীকে বিভিন্ন খাদ্য খাবারের মধ্যে বিষক্রিয়া জাতীয় মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। সেটা আমরা প্রমাণও পেয়েছি, ৭ জানুয়ারী শনিবার রাত ১২টার দিকে আবারো কোমল পানিতে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ভুল করে যে কোমল পানির বোতলে বিষ মিশিয়ে ছিল সেই পানি সুমাইয়া পান করে। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসার পর সুমাইয়া খাতুনের শারীরিক অবস্থা এখন ভালোর দিকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন