চোখ এখন ট্রাম্প-পুতিনের ওপর
জার্মানির হামবুর্গে আজ শুক্রবার পর্দা উঠতে যাচ্ছে জি-২০ সম্মেলনের। এই সম্মেলনের ফাঁকে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ, ইউক্রেন ও সিরিয়া ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরেই ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্কে টানপোড়েন চলছিল। সেই সম্পর্ক মেরামতের উদ্যোগের অংশ হিসেবে শুক্রবার ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠককে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দুই রাষ্ট্রপ্রধানও সম্পর্ক মেরামতে তাদের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন।
রাশিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে এক ঘন্টার বৈঠকে বসবেন পুতিন-ট্রাম্প্। তবে অন্যান্য পশ্চিমা গণমাধ্যম জানিয়েছে, এটি আধা ঘন্টার বৈঠক হতে পারে। সময় যাই হোক না কেন বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ, সিরিয়া সংকট, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকছে তা প্রায় নিশ্চিত করেছেন কূটনীতিকরা।
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে গণমাধ্যমের উপস্থিতি থাকছে না। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন এবং কর্মকর্তাদের সূত্রে ফাঁস হওয়া তথ্যই সংবাদমাধ্যমের সম্বল। সিএনএন অবশ্য জানিয়েছে, বৈঠকের সাফল্যা এবং দুই প্রেসিডেন্টের আন্তরিকতার বিষয়টি তাদের দেহভঙ্গির মাধ্যমেই অনেকটা প্রকাশ পাবে। জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ওয়াশিংটন সফরে এসেছিলেন। ওই সময় মে’র হাত ট্রাম্প যেভাবে ধরে রেখেছিলেন তাতে ব্রিটেনের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্কের বিষয়টিই প্রকাশ পেয়েছিল। এর পরই ওভাল অফিসে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল ট্রাম্পের। তবে ওই বৈঠকে মের্কেলের সঙ্গে করমর্দন করতে ব্যর্থ হন তিনি। ব্যবসার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের জার্মানবিরোধী অবস্থানের কারণে একে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের শীতল সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছিল পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন