ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শেখ এর বেটি পালায় না। কিন্তু ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চোরের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। বিএনপি জামায়াতসহ অন্য দলের লোকজনদের তিনি রাজাকার বলতেন। আমরা বলি আওয়ামীলীগ হলো হিন্দুস্তানের রাজাকার। ১৮ বছরে দেশের একটি মানুষও পাকিস্তানে পালিয়ে যায়নি।

আমরা যাদের হিন্দুস্তানের দালাল বলতাম সেটি আজ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনাসহ তার দলের প্রায় ৫০০ নেতা ভারতে পালিয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী পাকিস্তানে পালায়নি। আওয়ামী লীগ ছাত্র-জনতার অর্জন নষ্ট করতে বিভিন্ন অপকৌশল চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা ফয়সাল আমীন।

বুধবার রাত ৮টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কে কে লক্ষীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বড়গাঁও ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত বর্ধিত ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা, নির্যাতন নিপীড়ন তুলে ধরে বলেন, সেই চোরের দলেরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে। তাই সকলকে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে আহ্বান জানান। তিনি বিএনপির কেউ কোন ধরনের চাঁদাবাজি অন্যায় অত্যাচার না করার হুশিয়ারি দেন নেতাকর্মীদের। যদি কেউ চাঁদাবাজি ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হয় তাহলে দলিয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ভোটদিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

বক্তব্য শেষে নিহত ছাত্র-জনতা ও নেতাকর্মীদের আত্মার মাগফেরাত এবং আহতসহ অসুস্থদের সুস্থতা কামনায় ও সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের জন্য দোয়া এবং মোনাজাত করা হয়।

বর্ধিত ও কর্মী সভায় ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা: আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল হামিদ, সহসভাপতি লাল, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা ডানো, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামরুজ্জামান কামু, সাধারণ সম্পাদক বুলেট, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস, ছাত্রদল নেতা সাজু, বিএনপি নেতা নুরে এ আলম বাবুসহ জেলা, উপজেলা ও পৌর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।