ছাগল পালনে জামালপুরের গ্রামীন মহিলারা আত্মনির্ভরশীল
সরকার গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সরকারের প্রকল্প ছিলো গ্রামীন যুব মহিলাদের ছাগল পালনের মাধ্যমে আত্ম নির্ভরশীল করা। জামালপুরের ৭টি উপজেলায় সরকারের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অধিকাংশ গ্রামীন যুব মহিলা স্বাবলম্বি হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।
জানাযায়, জামালপুর সদর উপজেলা ছাগল পালন সম্বৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার অধিকাংশ যুব মহিলা ছাগল পালনে ব্যপক উৎসাহিত হওয়ায় সর্বত্র ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে। সরেজমিনে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চর গজারিয়া, ইটাইল, বাশচড়া সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ সব এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ীর যুব মহিলারা ছাগল পালন করে যাচ্ছে।
কথা হয় শ্যামলি বেগম(২৫) সালেহা(৩০) এর সাথে তারা এই প্রতিবেদক কে বলেন সরকার প্রানি সম্পদ বিভাগের মাধ্যমে ছাগল পালনে উৎসাহিত করেছে পাশা পাশি আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। যারজন্যে সর্বত্র ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে। তাছাড়া যুব উন্নয়ন সহ বিভিন্ন এনজিও ছাগলের রোগ বালাই সম্পর্কে প্রশিক্ষন দেয়ায় অধিকাংশ যুব মহিলা ব্যপক ভাবে সচেতন হয়ে পড়েছে।
সরকারের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সর্বত্র গড়ে উঠেছে ছাগলের খামার। এ ডাংধরা, পাররামপুর,হাতিবান্দা, মহাদান, ভাটারা,পাথরশী সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন যুব মহিলার সাথে তারা এ প্রতিবেদককে বলেন সরকার গ্রামীন যুব মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ছাগল পালনে সহায়তা করছে। যারজন্যে সর্বত্র ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে।
এব্যপারে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ মো: মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গ্রামীন যুব মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্যে ছাগল পালন সহ একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ সব প্রকল্পের কারনে গ্রামীন অর্থনীতি আজ চাঙ্গা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন