ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার বয়স বাড়ালেন শেখ হাসিনা
ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৭ বছর বয়সের যে সীমা তা- এক বছর বাড়িয়েছেন সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন থেকে ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ২৮ বছর।
সাইফুর রহমান সোহাগ এবং এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটি দুই বছরের জায়গায় দুই বছর নয় মাস দায়িত্বপালন করেছেন। আর এই নয় মাস বেশি লেগেছে বলে বয়সসীমা এক বছর বাড়ানোর কথা জানান শেখ হাসিনা।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ইতিহাস, দেশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর গড়া ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভূমিকা ও ত্যাগের বর্ণনার পাশাপাশি তার সরকারের অর্জনের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার বয়সসীমা এক বছর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতৃত্বের একটা বয়স আমরা ২৭ বছর করে দিয়েছিলাম। দুই বছরমেয়াদি এই (বর্তমান) কমিটি মেয়াদ নয় মাস বেশি হয়ে গেছে। আমি চাই না, নয় মাস বেশি হয়ে গেছে বলে কেউ বঞ্চিত হোক। কাজেই এটাকে আমরা এক বছর গ্রেস দিতে পারি। কাজেই ২৮ বছরের মধ্যে যারা, তারাই হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এখন কোনো সেশনজট নেই। ২৩ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে মাস্টার্স ডিগ্রি পাস হয়ে যায়। এরপর ২৭ বছরে ডাবল মাস্টার্স হয়ে যায়। তার পরেও কিন্তু বয়স থাকে।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেশের ভবিষ্যৎ আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমরা যারা ছাত্রসমাজ, আগামী প্রজন্ম, ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে এই দেশকে আমরা যে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিচ্ছি, তোমরাই তার কর্ণধার হবে। তোমরাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন