ছেলেদেরকে কাতার থেকে বাবার লাশ নিতে দেয়নি সৌদি
কাতারের সঙ্গে সৌদি জোটের কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন, জল-স্থল ও আকাশ যোগাযোগ বন্ধ করা এবং কাতারের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ‘বার্লিন প্রাচীরের চেয়েও ভয়াবহ’।
কাতারের জাতীয় মানবাধিকার কমিটি (এনএইচআরসি) চেয়ারম্যান আলি বিন মাইখ আল মারি জেনেভাতে এ কথা বলেন। খবর আলজাজিরা’র।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে আলি বিন মারি কাতার অবরোধের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি জানান, চারটি আরব দেশ কর্তৃক অবরোধে অন্তত ১৩ হাজার কাতারি নাগরিকের অধিকার খর্ব হয়েছে।
কাতারের জাতীয় মানবাধিকার কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিভাবে এই অবরোধের মাধ্যমে সন্তানদের কাছ থেকে মায়েদের আলাদা করা হয়েছে।
দোহাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিটি দফতরে প্রতিদিনই অসংখ্য মেইল, ফোন ও সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের অভিযোগ জানাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা।
জেনেভাতে জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার সভায় কাতারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া (অবরোধ) বার্লিন প্রাচীরের চেয়েও ভয়াবহ।’
কয়েকটি হৃদয়বিদারক ঘটনা তুলে ধরেন কাতারের শীর্ষ ওই মানবাধিকার কর্মকর্তা। পরিবার বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয়াবহ দিক নিয়ে বলতে গিয়ে একটা ঘটনার কথা বলেন, যেখানে কাতারে এক সৌদি নাগরিক মারা যান।
সৌদি আরবে থাকা ওই ব্যক্তির ছেলেরা বাবার লাশ নিতে আসতে পারেনি। কারণ সৌদি কর্তৃপক্ষ আসতে দেয়নি। তাই কাতার নিজ দায়িত্বে সে সৌদি নাগরিকের লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার কথিত অজুহাতে কাতারের ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, বাহরাইন, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদেরকে সমর্থন দেয় মিত্র কয়েকটি দেশ। এতে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন