ছেলেরা নিহত, ২২ নাতি-নাতনির দায়িত্ব ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধার কাঁধে

ইরাকি নারী সানা ইব্রাহীম আল তায়ীর ছেলেদেরকে হত্যা করেছে জঙ্গী গোষ্ঠী আইএস সদস্যরা। এর পর থেকে তার নিহত ছেলেদের রেখে যাওয়া ২২ নাতি-নাতনিকে লালন-পালন করতে হচ্ছে তাকেই। এটাই এখন তার পূর্ণকালীন চাকরি।

এতগুলো নাতি-নাতনিকে নিয়ে পূর্ব মাসুলের চার কক্ষের একটি ফ্ল্যাটে ঘেঁষাঘেষি করে বসবাস করেন তিনি। সরকারের কাছ থেকে সহায়তা পান না বললেই চলে।

আত তায়ীর স্বামী দূরারোগ্য অ্যালঝেইমারে ভুগছেন। আর শিশুগুলোর বয়সও দুই থেকে সর্বোচ্চ ১৬ বছর। এর মধ্যে তার মেয়ে ও দুই সন্তানের বিধবা স্ত্রীরাও রয়েছেন।

বিভিন্ন দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিয়ে এসব শিশুদের খাওয়া, পোশাক, ফ্ল্যাট ভাড়া দিতে হয় তাকে। তার সন্তানরা দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশে চাকরি করতেন। এখন তারা পেনশন পাবেন কিনা তা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন তিনি।

ষাটোর্ধ্ব আত তায়ী বলেন, আমি আশা করছি, সরকার এতিম ছেলেমেয়েদের জন্য বাসা ভাড়া ও পেনশনের ব্যবস্থা করবে।

আত তায়ী নিজেও অসুস্থ। তার স্বরতন্ত্রী অবশ হয়ে গেছে। ভেঙেপড়া শরীর নিয়ে তার তিন সন্তানের মৃত্যুসনদ সংগ্রহ করে সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, গণকবরের মধ্যে শায়িত করায় অন্যদের মরদেহ খুঁজে বের করতে পারছেন না। তাদেরকে নিখোঁজ হিসেবে বিবেচনা করায় মৃত্যুসনদ সংগ্রহ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এ রকম ঘটনা একটা স্বাভাবিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে ওই অঞ্চলটি আইএস নিয়ন্ত্রণ করত। গত বছরের ডিসেম্বরে মার্কিন সামরিক সহায়তা তাদের বিতাড়িত করা হয়েছে ইরাকি বাহিনী।