‘ছোটবেলায় পাটখড়ির মাথায় পচা গাছের আঠা লাগিয়ে ফড়িং ধরতাম’
ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছোটবেলায় আমরা পাটখড়ির মাথায় পচা গাছের আঠা লাগিয়ে ফড়িং ধরতাম। এছাড়া পাটখড়ি ছোট ছোট টুকরা করে একসঙ্গে ফেলে আরেকটা কাঠি দিয়ে তুলে নিতাম। এখনকার ছেলে-মেয়েরা তো সেসব খেলে না।
বুধবার সকালে পাট দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান এবং ৬-৭ মার্চ দুই দিনব্যাপী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বক্তব্য শেষে উদ্বোধন করেন পাট মেলার।
পাটপাতার গুণাগুণ তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাটের পাতা, এটা কিন্তু ভালো একটা সবজি। আমরা পাটশাক খাই। এর উপকারটা কী? পাটশাক খেলে পেট ভালো থাকে। পাটশাকে আয়রন বেশি, ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি ও জ্বর থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগের প্রতিষেধক পাটপাতা। এখন অবশ্য পাটের পাতা থেকে চা উৎপাদন করা হয়েছে। এটা (চা) শরীরের জন্য খুব ভালো।
তিনি বলেন, পাটের পাতায় সার হয়। পাট চাষের পরে যে ধান লাগানো হয় সে ধান কিন্তু ভালো হয়। পাটের পাতা থেকে হারবাল মেডিসিন ও প্রশাধনী সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। সুতরাং পাটের পাতার গুণের শেষ নেই। পাটের কোনো কিছুই ফেলনা নয়। পাটকাঠি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া পাটখড়ি এখন চারকোল (কার্বন পাউডার) হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ঘরের বেড়া তৈরিতে পাট ব্যবহার হয়। পাটখড়ি থেকে হাডবোর্ড হচ্ছে। তা দিয়ে দরজা হচ্ছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে থিম সঙ প্রচার করা হয়। এরপর পাটের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন