ছোলা-পেঁয়াজসহ রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বেড়েছে
মাসখানেক পরই পবিত্র রমজান। এসময় বেড়ে যায় বেশ কিছু পণ্যের চাহিদা। তেমনই কিছু পণ্যের আমদানি বেড়েছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। সূত্র জানায় ছোলা, বাদাম, আদা, রসুনসহ নিত্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে। কোনো জটিলতা ছাড়াই বন্দর থেকে সরাসরি পণ্য কেনাবেচার সুযোগ থাকায় খুশি আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা।
শনিবার হিলি স্থলবন্দরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন সকাল হলেই ভারতীয় ট্রাকে বোঝাই করা পণ্য হিলি বন্দরে ঢুকছে। বন্দরে এসব ট্রাক থেকে চাহিদামতো পণ্য কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বন্দরে আসা পাইকার ও ব্যবসায়ীরা। আসন্ন রমজান সামনে রেখে বন্দর দিয়ে ছোলা, বাদাম ও কিসমিসসহ নানা রকম ভোগ্যপণ্যের বড় একটি অংশ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
এসব পণ্য কোনো ঝামেলা ছাড়াই সরাসরি কেনাবেচার সুযোগ থাকায় আমদানিকারকদের পাশাপাশি খুশি ব্যবসায়ীরা। এবিষয়ে আমদানিকারক হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো আমরা বিভিন্নভাবে এলসি (ঋণপত্র) করতে পারছি। সরকারি নির্দেশনায় ব্যাংকগুলো শিথিল হয়েছে। ফলে রমজানকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে আমরা ব্যাপকভাবে পেঁয়াজের এলসি করেছি।
আরেকজন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম সুইট বলেন, ব্যাংক যদি ধারাবাহিকভাবে এলসি খুলতে দেয়, তাহলে নিত্যপণ্যের জোগান স্বাভাবিক থাকবে। সেই সঙ্গে বাজারও স্বাভাবিক থাকবে।
এদিকে ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সুবিধার্থে শুল্কায়ন শেষে পণ্য দ্রুত ছাড়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা সুকান্ত দাস। তিনি বলেন, আমরা ভারতীয় কাস্টমসকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি যেন তারা আমাদের রমজানে মাসের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো দ্রুত সময়ে খালাস করে।
চলতি মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত ভারতীয় ১ হাজার ৯১২টি ট্রাকে ৬৪ হাজার ৭০০ টন পণ্য আমদানি হয়েছে। যার মধ্যে ছোলা, পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও মসুর ডাল রয়েছে প্রায় ১০ হাজার টন।
প্রতিবছরই রমজানে প্রয়োজণীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় দামও। বিশেষ করে ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুরসহ প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম নিম্নবিত্তের মানুষের নাগালের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন