ছয় বছরে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম সর্বোচ্চ

ছয় বছরের মধ্যে নভেম্বর মাসে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ তথ্য জানিয়েছে। জাতিসংঘরের প্রতিষ্ঠানটি জানায়, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে প্রতিকূল আবহাওয়া অনেকাংশে দায়ী।

এফএও জানায়, আমদানি করতে হয় এমন খাদ্যপণ্যের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বিশ্বের ৪৫টি দেশ, যাদের প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্য আমদানি করতে হয়, দাম বাড়ার কারণে তারা চাপে পড়েছে।
খাদ্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সবজি ও ভোজ্য তেলের।

এফএও জানিয়েছে, আমেরিকা, ইউক্রেন ও আর্জেন্টিনায় গমের আবাদ কম হওয়ায় পণ্যটির দাম বেড়েছে। গমের দাম বাড়ার আরেকটি কারণ হলো চীনের মজুদ। দেশটি একসঙ্গে বিপুল পরিমাণে গম কিনে রাখে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং থাইল্যান্ডে খারাপ আবহাওয়া এবং চীনে উৎপাদন কম হওয়ার কারণেও গমের দাম ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে, ইউরোপে বিক্রি বাড়ার কারণে কিছু অংশে দুধের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। মাংসের দামও শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে করোনা মহামারিতে যাদের বেতন কমেছে তারা সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। এর ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহামারি ছাড়াও মধ্য আমেরিকায় সাম্প্রতিক হ্যারিকেন এবং আফ্রিকায় বন্যা, কীটপতঙ্গের আক্রমণ, বিরূপ আবহাওয়া এবং দ্বন্দ্ব সংঘাতের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খাদ্য উৎপাদনে। ফলে আফ্রিকার ৩৪টিসহ মোট ৪৫টি দেশকে অতিরিক্তি খাদ্য আমদানি করতে হতে পারে।