ছয় মিনিটে দুই গোলে নাটকীয় ড্র রিয়ালের

দিন তিনেক আগে এল ক্লাসিকোর মতো উত্তেজনার লড়াইয়ে হেসেখেলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেই দলটিকেই বড্ড বেশি অচেনা ঠেকল বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মাঠে।

দুই গোল খেয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে টানা দ্বিতীয় হারের শঙ্কায় পড়েছিল জিনেদিন জিদানের দল। সেখান থেকে শেষ ৬ মিনিটের ঝলকে মান বাঁচিয়েছে রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি।

মঙ্গলবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। মার্কাস থুরামের জোড়া গোলে ৫৮ মিনিটে ২-০তে পিছিয়ে পড়া রিয়াল ৮৭ মিনিটে করিম বেনজেমার গোলে আশা ফিরে পায়। আর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান কাসেমিরো।

অথচ আক্রমণ আর বল দখলে প্রতিপক্ষ থেকে বেশ এগিয়েই ছিল রিয়াল। কিন্তু ভালো কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি। এর মধ্যেই ম্যাচের ৩৩ মিনিটে এক গোল হজম করে বসে জিদানের দল।

ডান দিক থেকে সতীর্থের কোনাকুনি পাস ডি-বক্সে পেয়ে জোরালো এক শটে জাল কাঁপান ফরাসি ফরোয়ার্ড থুরাম। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮ মিনিটের মাথায় মনশেনগ্লাডবাখকে আবারও আনন্দে ভাসান তিনিই।

আলেসান প্লার নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও ধরে রাখতে পারেননি গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া, আলগা সেই বল পেয়ে সহজেই গোল করেন থুরাম।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে রিয়াল। অগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। গোল আরও পেতে পারতো মনশেনগ্লাডবাখ। কিন্তু কোর্তোয়ার কয়েকটি সেভ আর ভাগ্য বাঁচিয়ে দেয় রিয়ালকে।

ম্যাচ তখন প্রায় শেষের পথে। রিয়াল শিবিরে আশার সঞ্চার করেন বেনজেমা। ৮৭তম মিনিটে কাসেমিরোর হেড থেকে অনেকটা বাইসাইকেল কিকের ভঙ্গিমায় ব্যবধান কমান ফরাসি ফরোয়ার্ড।

যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল পেয়ে যান কাসেমিরো নিজেই। ডান দিক থেকে লুকা মদ্রিচের ক্রসে হেড করে রামোস বল দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারকে। আলতো টোকায় গোল করতে ভুল করেননি কাসেমিরো। তাতেই ২-২ গোলের নাটকীয় এক ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইন্টার মিলানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে শাখতার দোনেৎস্ক। দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। মনশেনগ্লাডবাখ ও ইন্টারের দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ২। ১ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল আছে সবার শেষে।