জকিগঞ্জে মানবিক ইউনিটের বানবাসী মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ

জকিগঞ্জের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবীদের সংগঠন “মানবিক ইউনিট” টানা ৩য় বারের মতো ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জকিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার সামগ্রী বিতরণ করেছে।

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে, ১ম ধাপে জকিগঞ্জের সবরিয়া এবং ২য় ধাপে জকিগঞ্জ ৩নং কাজলশাহ ইউনিয়নে খাদ্য বিতরণ করা হয়। জানা যায় যে, টক Bangladesh Education Trust(UKBET) এবং প্রবাসীদের অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রীর প্রতিটি প্যাকে ২/১ কেজি মুড়ি, ১ কেজি চিড়া, ২৫০ গ্রাম চিনি, ১/২ কেজি বিস্কিট এবং খাবার স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ বানবাসী মানুষের কাছে তারা পৌঁছিয়ে দিচ্ছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ৩নং কাজলশাহ ইউপির সম্মানিত চেয়ারম্যান আশরাফুল আম্বীয়া সহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।

“মানবিক ইউনিট” সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, মানবিক ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটি অন্যতম সদস্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জাহেদুর রহমান বলেন-“২০২১ সাল থেকে অদ্যবধি জকিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আর্তমানবতার সেবায় নিরলস কাজ করে আসছে ‘মানবতার অতন্দ্র প্রহরী-মানবিক ইউনিট’। রমজান গিফট, ইদ উপহার, শীতবস্ত্র বিতরণ ক্যাম্পেইন এবং শিক্ষা সহায়তা সহ একালার ক্রান্তিলগ্নে আমরা মানুষের দোরগোড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করি। বিশেষ করে করোনা মহামারি, ২২ শের বন্যা এবং এবছরের বন্যায় আমরা বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।

কিছুদিন আগে এক দুস্থ দিনমজুরের পা মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে আমরা উনার পা অপারেশন সহ যাবতীয় ওষুধের ব্যবস্থা করে দেই। ভবিষ্যতে আমাদের এ কার্যপরিধিকে আরো বিস্তৃত করে মানব কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালনে ৭০জনের টিম “মানবিক ইউনিট” বদ্ধপরিকর।” ফান্ড কালেকশনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে জানান- “শুরু থেকেই মূলত প্রবাসীদের সহযোগিতা নিয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসতেছি। এবার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে প্রবাসীদের পাশাপাশি টক Bangladesh Education Trust(UKBET) অর্থায়ন করেছে। আকবেট সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি।
এসময় মানবিক ইউনিটের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অন্যতম সদস্য মনসুর আহমদ তাপাদার, মহসিন আহমদ,সুফিয়ান আহমদ, সাদিকুর রহমান, সালিক আহমদ, হুসাইন আহমদ,কুতুবুজ্জামান দাউদ, মনসুর আহমদ, তানবীরা লস্কর, সালমান আহমদ সাইফ, হাবিবুল বাসার, লায়েছ আহমদ, সুলতান আহমদ আকাশ, গিয়াস উদ্দিন,ওহাবুল ইসলাম, ওলিউর রহমান, রাবেল আহমদ, জাহিদ উদ্দীন, জাকির আহমদ, জাফরান আহমদ, দিলওয়ার আহমদ প্রমুখ।

চেয়ারম্যান আশরাফুল আম্বীয়া বলেন-“ছাত্র বয়সে তরুণদের এমন উদ্যোগ সত্যিই আমাকে বিমোহিত করেছে। আশাবাদী মানবিক ইউনিট তাদের কার্যধারা এভাবে অব্যাহত রাখবে। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের এমন কর্মস্পৃহা খুবই প্রয়োজন। উপস্থিত অন্যান্যরাও তাদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সবাই মানবিক ইউনিট উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।