জনগনের সরকার ক্ষমতায় আসলে একদিন সব গুম খুনের বিচার হবে : আমিনুল হক

দেশে জনগণের সরকার ক্ষমতায় আসলে একদিন সব গুম ও খুনের বিচার হবে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্যসচিব আমিনুল হক বলেছেন, এই অবৈধ আওয়ামী ডামী সরকার নিজেদের ক্ষমতার মসনদ দীর্ঘস্হায়ী করতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন করছে। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপির লাখো লাখো নেতা-কর্মীকে ঘরছাড়া করেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু একদিন এই সরকারকে এসবের জন্য জবাব দিতেই হবে। দেশে জনগণের সরকার ক্ষমতায় আসলে সব গুম ও খুনের বিচার হবে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে পল্লবী-রূপনগর এলাকায় বিগত দিনে গুমের শিকার পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম, পল্লবী থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম তারা এবং গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টন পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত মকবুল হোসেনের পরিবারকে ঈদুল আযহা উপলক্ষে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার সময় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।

আমিনুল হক বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণেই প্রতিনিয়ত গুম করা হচ্ছে। আমাদের দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী গুম হয়েছে। এটা একটা মানবতাবিরোধী অপরাধ। বিএনপি চেষ্টা করছে গুম ও খুন হওয়া পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে এবং পাশে রয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার আজ শুধুমাত্র শক্তি দিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের ওপর নির্যাতন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে।

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নির্যাতন করে, মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে কেউ কোনো দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না, পারবে ও না। এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারও পারবে না।

তিনি আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে, মানুষের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে। এই চলমান আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

সেই আন্দোলনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

এ সময় তার সঙ্গে মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক কামাল হুসাইন খান,
যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ আলী গাজী, আনিছুর রহমান, মোতালেব হোসেন হাওলাদার, মোঃ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর সেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব মহসিন সিদ্দিকী রনী, মহানগর উত্তর ছাএদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলাদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লাইলী বেগম,পল্লবী থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া,পল্লবী থানা দলের সভাপতি জুয়েল খন্দ, মহিলা থানা মহিলাদলের সদস্য সচিব পলি বেগম, রুপনগর থানা ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন,পল্লবী ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ মামুন, আদাবর থানার ৩০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, পল্লবী থানার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, সদারন খায়ের, ৯১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক বাবুল, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাদশা মিয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসলাম গাজী, কাফরুল থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহাদাত হোসেনসহ রূপনগর পল্লবী এলাকার স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।