জনগন জবরদখলবাজ সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামাবে: আমিনুল হক
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
হাজার হাজার নেতাকর্মী আজ জেলে রয়েছে, তারপরও বিএনপি মামলা হামলা ও নির্যাতনে ভয় করে না। বিএনপির হারানোর কিছু নেই, নির্যাতন ও নিপীড়ন বিএনপির সয়ে গেছে।
তিনি বলেন, অবৈধ বিনা ভোটের ডামি সরকার তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে একের পর এক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আদালতে ফরমায়েসী সাজার মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলখানায় দিনের পর দিন আটকে রাখা হচ্ছে। আওয়ামী সরকারের অবৈধ এই ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই তারা এসব অপকর্ম করছেন।
আমিনুল হক বলেন,দেশে কোনো আইনের শাসন নেই, দেশে দূর্নীতি ও অপশাসন চলছে। সরকার দলীয় লোকজন জনগণের টাকা লুটপাট করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করে বিলাসী জীবন যাপন করছেন,আর পক্ষান্তরে জনগণ অসহায় জীবন যাপন করছেন।
তিনি বলেন, যারা দেশের টাকা লুটপাট করে পাচার করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে চায়, জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। জনগন জবরদখলবাজ এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনেহিঁচড়ে নামাবে।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বিষয়টি তুলে ধরে আমিনুল হক বলেন, আজকে মানুষ বেঁচে থাকার অধিকার চায়, নিজের মৌলিক অধিকার চায়, নিরাপত্তা চায়, ভোট ও ভাতের অধিকার ফেরত চায়।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন থানা বিএনপির কারাবন্দী বনানী থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ওসমান গনি খোকন, ঈমান হোসেন নূর, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড জামাই বাজার ইউনিটের সহসভাপতি শাহজাহান বাবুর্চি, গুলশান থানা ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মেহেদী হাসান বাপ্পি।
১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নূর হোসেন নূরু, গুলশান থানা বিএনপি নেতা রফিক মোড়ল, গুলশান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক এসএ মামুনের পরিবারের সদস্যদের নীজ নীজ বাসভবনে গিয়ে সান্ত্বনাকালে উপস্থিত নেতৃবৃন্দদের মাঝে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, মহানগর সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এবিএমএ রাজ্জাক, শফিকুল ইসলাম শাহীন,গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহজাহান, ইউসুফ হোসেন মানিকসহ স্হানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন