জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন রংপুরবাসী
রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত।
নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল), বিএনপির কাওসার জামান বাবলা (ধানের শীষ), বাসদের আবদুল কুদ্দুস (মই), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ টি এম গোলাম মোস্তফা বাবু (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সেলিম আখতার (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (হাতি)।
এই সিটিতে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে এবার মেয়র পদে মূল লড়াই হবে বড় তিন দলের প্রার্থীদের মধ্যে।
এ ছাড়া ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন ও সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৫ জন নারী কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে।
নির্বাচনে ১৯৬টি ভোটকেন্দ্রে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ ভোটার ভোট দেবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।
ঘন কুয়াশার মধ্যে সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট শুরুর আগেই ভোটারদের উপস্থিতি খুব একটা নেই। ভোট দেয়ার জন্য সকাল থেকেই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে কিছু ভোটারকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি কিছু নারী ভোটারকেও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে ইসি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এর মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন করতে চায়।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কেউ ভোটকেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারবে না। সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েন আছে।’
রংপুর সিটিতে দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। এলাকার ভোটাররা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী।
রংপুরের নির্বাচনকে সামনে রেখে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচনে মোট ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৮টি কেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। কেন্দ্রগুলোর আশপাশে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন করে পুলিশ ও ১৪ জন করে আনসার সদস্য থাকবে। আর সাধারণ কেন্দ্রে আট জন পুলিশ ও ১৪ জন আনসার সদস্য থাকবে। এ ছাড়া প্রতি ওয়ার্ডে থাকবে র্যাবের একটি করে দল।
নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এছাড়া আরও ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ছয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে। বিজিবি থাকবে ২১ প্লাটুন।
২০১২ সালের ২৮ জুন রংপুর পৌরসভা থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু রংপুর সিটির প্রথম নগরপিতা নির্বাচিত হন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন