জবির প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হয় শিডিউল করে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের পাশে ও রসায়ন বিভাগের নিচে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত নতুন ওয়াশরুমটি ব্যবহার করছে তিনটি বিভাগ। ৪-৫ মাস আগে প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য পাশাপাশি তিনটা টয়লেট ও তিনটা বেসিন নির্মাণ করা হয়। সেই সাথে উপরের সিলিংয়ের কাজও করা হয়। শুরুতে সাধারণভাবে ব্যবহার করলেও কেউ তা ঠিকমতো পরিস্কার না করায় এখন শিডিউল অনুসারে ব্যবহার করতে হয়। প্রতি দুই মাস থাকবে এক বিভাগের অধীনে। গনিত, মনোবিজ্ঞান ও রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যানদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হয় যে দুই মাস করে এক একটি বিভাগ ওয়াশরুমে সিডিউল করে রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। এসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করাসহ যাবতীয় দায়িত্ব ঐ বিভাগের। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দায়িত্ব ছিল গণিত বিভাগ। নভেম্বর-ডিসেম্বরে দায়িত্বে ছিল মনোবিজ্ঞান বিভাগ,২০২৩ এর জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্বে ছিল রসায়ন বিভাগ। বর্তমান মার্চ ও এপ্রিল মাসের সিডিউল অনুযায়ী দায়িত্বে আছে গণিত বিভাগ। এভাবে দুই মাস করে রক্ষণাবেক্ষণ করে তিন বিভাগ মিলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় বেশ কিছুদিন ওয়াশরুমটি সময় মতো খোলা হচ্ছিল না। ওয়াশরুমটি খোলা রাখার সময় হলো ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সম্প্রতি অন্যবিভাগের এক কর্মচারী সকাল ১০ টা বেজে যাচ্ছিল তাই নিজ থেকে তালা খুলে দিলে সেখানে গনিত বিভাগের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ডাবল তালা লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন নিজ উদ্যোগে তালা খুলে দেওয়া সেই কর্মচারী। তিনি অভিযোগ করে বলেন ওয়াশরুমটি যখন তাদের অধীনে ছিল তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি মাসে দায়িত্বে আছে গনিত বিভাগ। এখন গনিত বিভাগ দায়িত্বে অবহেলা করছে এতে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হচ্ছে।
এ নিয়ে গনিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল আলম, তথ্যের সোর্স জানতে চেয়ে প্রতিবেদকের থেকে কাগজটি কেড়ে নিতে চায়। এসময় তিনি বলেন আমার বিভাগেও অনেক সাংবাদিক আছে। টয়লেটটি নিয়ে যারা অভিযোগ করেছেন তাদের অধীনে থাকাকালীন এটা নোংরা করে রাখা হতো। আমাদের দায়িত্বে আসার পর নিজ বিভাগের খরচে আমরা পরিস্কার করে রাখছি। ডাবল তালা লাগানোর বিষয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী অরুন জানান, চেয়ারম্যান স্যারের কাছে যেন অভিযোগ না আসে তাই আমি ডাবল তালা লাগিয়েছিলাম। পরবর্তীতে বিষয়টি বুঝতে পেরে এখন থেকে ওয়াশরুমটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও সময় মত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন গনিত বিভাগের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল কাদের বলেন, এটা যেহেতু শিডিউল করে বিভাগের অধীনে দেওয়া আছে তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখা তাদের দায়িত্ব, কেন্দ্রীয়ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার কোন ব্যবস্থা করা যাবে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন কেন্দ্রীয়ভাবে ওয়াশরুমটি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হলে ভালো হবে, তাহলে কেউ অভিযোগ করতে পারবে না।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন