জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পদ প্রার্থিতাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় ১১ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সংঘর্ষে বিদ্রোহী গ্রুপের ৮ থেকে ১০ জন এবং তরীকুল-কামরুল গ্রুপের ১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহতরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিদ্রোহী গ্রুপের হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন আশরাফুল ইসলাম টিটন ও হোসনে মোবারক রিশাত। আশরাফুল ইসলাম টিটন স্থগিত কমিটির সহ-সভাপতির পদ পেলে তিনি পদত্যাগ করেন। অন্যগ্রুপের নেতৃত্বে আছেন তরীকুল রিমন, মোহাম্মদ কামরুল হোসেন ও আল শাবাব।

দুই গ্রুপকেই ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া করতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আশরাফুল ইসলাম টিটন ও হোসনে মোবারক রিশাত গ্রুপের সাথে বহিরাগত ঢাকা কলেজের শাহরিয়ার মামুন ও রাশিক মুস্তাকিম এবং কবি নজরুল কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী সুজন ছিল।

এছাড়াও বিদ্রোহী গ্রুপের সাথেই ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কৃত শাকিল, নূরে আলম ও আশিক সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল।

তরীকুল রিমন, মোহাম্মদ কামরুল হোসেন, আল শাবাব গ্রুপ নিজেদের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনুসারী, পদপ্রত্যাশী, সক্রীয় ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন। ক্যাম্পাসের অস্থিতিশীল অবস্থা প্রতিরোধ করার জন্য ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তারা।

অন্যদিকে, আশরাফুল ইসলাম টিটন ও হোসনে মোবারক রিশাত গ্রুপও নিজেদের পদপ্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনুসারী হিসেবে দাবি করেছেন।

হোসনে মোবারক রিশাত বলেন, ক্যাম্পাসে কিছু হলেই স্থগিত কমিটি আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে এবং ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করিয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক শোভন বলেন, যার যার স্বার্থ হাসিলের জন্য সবাই আমাদেরকে ব্যবহার করে। সবাইতো আমাদের কর্মী। সবাইতো ছাত্রলীগ। আমরা বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে রিপোর্ট নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থগিত কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, তারা তো কার্যক্রম ভালোর চেয়ে খারাপ করছে। এ বিষয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো।