জমজ সন্তান দেখতে একই রকম হয় কেন!
আমাদের সমাজে জমজ সন্তান জন্ম নিতে দেখা যায়। কখনো কখনো দুইয়ের অধিকও হয়ে থাকে। তারা দেখতে ঠিক একই রকম হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই জমজ সন্তান জন্মানোর বিষয়ে কিছু তথ্য রয়েছে। আসুন জেনে নেই জমজ সন্তান জন্মানোর সেই রহস্য-
জমজ কেন হয়: স্ত্রী দেহের ডিম্বাণু ও পুরুষের শুক্রাণুর মিলনে তৈরি হয় ভ্রূণ। প্রতি ঋতুচক্রে নারী শরীরে একটি ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়। কিন্তু কখনো কখনো দুটি ডিম্বাণুও উৎপন্ন হতে পারে। প্রায় একই সময়ে উৎপন্ন হওয়া দুটি ডিম্বাণু থেকে জমজ সন্তানের উৎপত্তি হয়ে থাকে। শুধু এটাই নয়, একটি ডিম্বাণু ভেঙে দুটি হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও জমজ সন্তানের জন্ম হতে পারে।
ভিন্নধর্মী জমজ: সাধারণ দুটি ঊর্বর ডিম্বাণু থেকে এই ধরনের জমজের উৎপত্তি। এদের আকৃতি ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। গায়ের রং, চোখ বা চুলের রং-ও আলাদা হয়। তবে উভয়ের রক্ত ভিন্নধর্মী না-ও হতে পারে। এ দুটি ভিন্ন ভ্রূণঝিল্লিতে অবস্থান করে এবং স্বতন্ত্র ফুল থেকে পুষ্টির সরবরাহ পায়। সাধারণত এসব জমজের একটি হয় ছেলে এবং একটি হয় মেয়ে। যে সব দম্পতি নিজেরা জমজ, তাদের এরকম জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
একরকম জমজ: এরূপ জমজ সন্তানের উৎপত্তি একটি ডিম্বাণু থেকে। এই ডিম্বাণু স্বাভাবিক ঊর্বরতা লাভের পর দুটি সমান ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি ভ্রূণের সৃষ্টি করে। এটি একটি ভ্রূণ-ঝিল্লির মধ্যে দু’ভাগে অবস্থিত থাকে এবং দুটি ভ্রূণ একটি ফুল থেকেই অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি গ্রহণ করে। তা সত্ত্বেও অনেক সময় একটি ভ্রূণ অপেক্ষা অন্যটি বেশি বেড়ে যেতে পারে। এ ধরনের জমজ সন্তান দেখতে একই রকম হয়। আর দুটিই ছেলে বা দুটিই মেয়ে হতে পারে। অনেক সময় এদেরও দেহের গঠন, মুখাবয়ব, চুল বা চোখের রং হয় একই রকম। রক্তের গ্রুপ হয় সম-চরিত্রের, একজনের চামড়া কেটে অন্যের গায়ে লাগালে তা নিজের চামড়ার মতোই আচরণ করে। বুড়ো আঙুলের ছাপে কিন্তু পার্থক্য থাকে।
যুক্ত জমজ: কখনো কখনো ডিম্বাণুটি অসম্পূর্ণভাবে বিভক্ত হলে সংযুক্ত-দেহবিশিষ্ট যুক্ত জমজ বা সায়ামিজ টুইন-এর সৃষ্টি হয়। জন্মের পর যাদের অপারেনের মাধ্যমে আলাদা করা সম্ভব হয়। আবার অনেকাংশে আলাদা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন