জরিপের ফল প্রকাশ : সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা
সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। সুন্দরবনে বাঘ জরিপের ফলাফল প্রকাশ এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বন ভবনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জরিপের ফল প্রকাশ করেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. বিল্লাল হোসেন, প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোট চারটি ধাপে তিনটি ব্লকে ১৬৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ক্যামেরা বসিয়ে ২৪৯ দিন ধরে পরিচালিত ওই জরিপে ৬৩টি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ, ৪টি জুভেনাইল বাঘ (১২-১৪ মাস বয়সী) এবং ৫টি বাঘের বাচ্চার (০-১২ মাস বয়সী) ২৪৬৬টি ছবি পাওয়া যায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জরিপে সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই তিন বছরে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ ভাগ। ২০১৫ সালে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি।
২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত সাতক্ষীরা রেঞ্জের ১২০৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় দুটি সেশনে ২৫৩ গ্রিডে ক্যামেরা বসিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়।
পুনরায় ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনা রেঞ্জের ১৬৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় একটি সেশনে ৯৬টি ক্যামেরা বসিয়ে জরিপ পরিচালনা করা হয়।
একইভাবে ২০১৮ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ১০ মে পর্যন্ত শরণখোলা রেঞ্জের ২৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় দুটি সেশনে ১৮৭ গ্রিডে ক্যামেরা বসিয়ে জরিপ করা হয়।
মোট চারটি ধাপে তিনটি ব্লকে ১৬৫৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ক্যামেরা বসিয়ে ২৪৯ দিন ধরে পরিচালিত ওই জরিপে ৬৩টি পূর্ণ বয়স্ক বাঘ, ৪টি জুভেনাইল বাঘ (১২-১৪ মাস বয়সী) এবং ৫টি বাঘের বাচ্চার (০-১২ মাস বয়সী) ২৪৬৬টি ছবি পাওয়া যায়।
যেহেতু সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের বিচরণক্ষেত্র ৪৪৬৪ বর্গ কিলোমিটার। সে ক্ষেত্রে বাঘ গবেষণা ও জরিপে সর্বাধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতি এসইসিআর মডেলে তথ্য বিশ্লেষণ হয়। তাতে দেখা যায়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে ওয়াইল্ডটিম, স্মিথসোনিয়ান কারজারভেশন ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ বন বিভাগ সুন্দরবনে যৌথভাবে ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা শুরু করে। ১১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি শেষ হয় ২০১৮ সালে। তবে ওই প্রকল্পের আওতায় এখনো বাঘ গবেষণা, সংরক্ষণ ও সচেতনতা সৃষ্টির কাজ চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন