জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ইসলামী ছাত্রশিবির

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। রোববার সন্ধ্যায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার বিকালে সূত্রাপুর থানায় স্থানীয় নাগরিকদের নিয়ে একটি সভা চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন।

এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকেন ও মারতে তেড়ে যান। পরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে জবি শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামকে সরিয়ে ওসির কক্ষে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারির কাছে ক্ষমা চান তিনি।

তবে এই সংবাদ প্রকাশ হবার পরে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নিজ ফেসবুক আইডিতে লেখেন- ক্ষমা চাওয়ার নিউজটা মিথ্যা ও বানোয়াট। ছাত্রদল কখনো অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত করে না।

এদিকে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা দ্বারা জবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামকে হেনস্তার প্রতিবাদে রোববার দুপুর ১২টায় মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এসময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া জবি শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থী হিসেবে জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা লজ্জার বিষয়। যদি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার না হয় তাহলে সেই সন্ত্রাসী কলেজের শিক্ষার্থীদের এবং কলেজ প্রশাসনকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। তার জন্য আমরা আজ এ মানববন্ধন করছি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

তারা আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী ছাত্রদল নেতা দ্বারা রিয়াজুল ভাইকে হেনস্তা করা হয়। ‌এর আগে ছাত্রলীগ এমন দুঃসাহস দেখিয়েছে, এখন অন্য একটি দল দেখানোর চেষ্টা করছে। ৫ আগস্টের পর একটা দল নিজেদের হনু মনে করছে এবং অন্য দলকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। তাদের পরিণতি কী হয়েছে আমাদের মনে হয় একবার ছাত্রদলকে বিবেচনা করা উচিত।