জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর স্মৃতিসৌধে ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাসহ সর্বস্তরের জনতা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। সকাল ৭টার পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, গণফোরাম, ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, খেলা ঘর, জাসদ, বাসদ, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সংগঠন, শেখ ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে ধানমন্ডি, জিগাতলা, হাজারীবাগ আওয়ামী লীগ, সাদেক খানের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর আওয়ামী লীগসহ আরও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তারা বলছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়তে চাই। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার নেতৃত্বে বা চক্রান্তে যারা ছিলেন তাদেরও বিচার দাবি করেছেন তারা।
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতার সুফল এখনও মানুষ পায়নি। সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মৌলবাদীদের দৌরাত্ম্য এখনও আছে। এখনও অনেক মানুষ তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে না। দেশে এখনও দুর্নীতির উৎসব চলছে। এসব দূর করতে পারলেই আমরা সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ পাবে।’
১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক বেদনাঘন দিন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে।
তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতিক্ষেত্রের অগ্রগণ্য মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি ঘাতকদের এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিল রাজাকার-আলবদর বাহিনী।
মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল ঘাতকেরা। বিজয় অর্জনের পর রায়েরবাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে একে একে পাওয়া যায় হাত-পা-চোখ বাঁধা দেশের খ্যাতিমান এই বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন