জাতীয়করণসহ ৮ দাবি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট। বুধবার (১২ জানুয়ারি) পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকার উপস্থিতিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে এক্যজোটের সদস্য সচিব মো. তাজুল ইসলাম ফরাজী বলেন, আমরা শুরু থেকেই প্রতিহিংসার শিকার। দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। পেটে ক্ষুধা নিয়ে পাঠদান হয় না। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে যদি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো জাতীয়করণ করা না হয় তবে ১০ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করবো।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের ৮ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার নীতিমালা-২০১৮ বাস্তবায়ন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার পাঠদানের অনুমতির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো মাদরাসা বোর্ডের কোডের অন্তর্ভুক্ত করা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় একজন অফিস সহায়কের পদ সৃষ্টি, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার ৫ম শ্রেণি সমাপনী পরীক্ষার অটোপাশের প্রজ্ঞাপন জারি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো জাতীয়করণ ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার ডাটা বেইজ চূড়ান্ত করণ।

তাজুল ইসলাম ফরাজী বলেন, আমাদের দাবির বিষয়টি সব মহল স্বীকার করে। কিন্তু এই ন্যায্য দাবি আদায় হচ্ছে না কেন? তা আমরা জানতে চাই। শিক্ষামন্ত্রী যেখানে প্রস্তাবনা দিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই প্রস্তাবণা অনুমোদন দিয়েছেন। এর পরেও ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন পাওয়াই বাধা কোথায়?

এসময় বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে ৩৬ হাজার ৮৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হলেও একই দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত ইবতেদায়ী মাদরাসগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়নি। আমরা আমাদের দাবি আদায়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিবো। দাবি আদায়ে আমরা পূর্বের মতো রাজপথে থাকবো।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমান, সমন্বয়ক আলহাজ্ব কাজী ফয়েজুর রহমান, মুখপাত্র এস এম জয়নুল আবেদীন জেহাদী, মো. শামছুল আলম, যুগ্ম সচিব মো. আব্দুস ছত্তার প্রমুখ।