জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র হুয়াওয়ের স্মার্ট পিভি
ময়মনসিংহে দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে হুয়াওয়ে স্মার্ট ফটোভোলটাইক (পিভি) সমাধান ইনস্টল করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সম্প্রতি জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হয়েছে এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
২০২১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে দেশের সর্বমোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ উৎপাদনে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে বিশেষ ভ‚মিকা রাখবে ৭৩ মেগা ওয়াট পিভি সক্ষমতার এ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট।
এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটি এর সাকিব হাসান শুভ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
একটি ফটোভোলটাইক সিস্টেম, পিভি সিস্টেম বা সৌর শক্তি ব্যবস্থা, এমন একটি বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যা ব্যবহারযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করে। সৌর প্যানেল, সোলার ইনভার্টার, মাউন্টিং, ক্যাবলিং এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ সম্বলিত এই ফটোভোলটাইক সিস্টেম সব কিছুর মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ওয়ার্কিং সিস্টেম নিশ্চিত করে।
দক্ষিণ এশিয়াতে আদ্র ও উষ্ণ জলবায়ু দেশ বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৫শ’ ঘণ্টার বেশি স‚র্যালোক থাকে। আর এটা বিবেচনায় রেখে, এ প্রকল্পের সর্বোচ্চ সক্ষমতায় আইপি৬৬ উচ্চস্তরের সুরক্ষা এবং অ্যান্টি-পিআইডি প্রযুক্তিসহ হুয়াওয়ে এসইউএন২০০০-১৮৫কেটিএল স্মার্ট পিভি স্ট্রিং ইনভার্টার ব্যবহার করা হয়েছে। এ প্রকল্পটি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ব্র²পুত্র নদীতীরে অবস্থিত। ১৭৩কে সোলার প্যানেল এবং ৩৩২ ইনভার্টারের মাধ্যমে এ প্রকল্প জাতীয় গ্রিডে বিশেষ অবদান রাখবে।
এ নিয়ে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ইয়াং গুয়োবিং বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রæতগতিতে ডিজিটালকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজার আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ। ৭৩ মেগাওয়াটের এ প্রকল্পে আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমাদের উদ্ভাবন ও দক্ষতার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের জ্বালানিখাতের ডিজিটালকরণ ও রূপান্তরে অবদান রাখতে চাই।’
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তিখাতের দ্রæত উন্নতি সাধন হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে সরকারের ৩১৬৮ মেগাওয়াট ইনস্টলেশন সক্ষমতার লক্ষ্য রয়েছে। এ মেগা প্রকল্প সে লক্ষ্য অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তিতে ৩০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসহ হুয়াওয়ে উদ্ভাবন এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তি, বাসা ও সংস্থার ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, একই বিজ্ঞপ্তিতে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার তানভীর আহমেদ জানান, হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত ও সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য। নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে একটি পরিপূর্ণ আইসিটি সল্যুশন পোর্টফোলিও প্রতিষ্ঠা করেছে, যা গ্রাহকদের টেলিকম ও এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধাসমূহ প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে সেবা দিচ্ছে, যা বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যার সমান। এক লাখ ৯৪ হাজার কর্মী নিয়ে বিশ্বব্যাপী টেলিকম অপারেটর, উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ তৈরির লক্ষ্যে হুয়াওয়ে এগিয়ে চলেছে।
শীর্ষস্থানীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে, গত ২১ বছর ধরে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি শিল্প, টেলিকম অপারেটর এবং স্থানীয় অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে তথ্য-প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিয়ে ’ডিজিটাল বাংলাদেশে’র স্বপ্ন পূরণে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া বিভিন্ন সিএসআর কর্মসূচী পরিচালনার মাধ্যমে সামাজিক ক্ষেত্রেও নানান অবদান রাখছে হুয়াওয়ে। অগ্রযাত্রার পথে, বাংলাদেশের সাথে এই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে হুয়াওয়ে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন