জাতীয় দলের কোচ হলেই সুজনের ‘বিশ্বরেকর্ড’!

চন্ডিকা হাথুরুসিংহে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর জায়গায় ভালো মানের একজন বিদেশি কোচ খুঁজছে বিসিবি। কিন্তু সেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কা সিরিজ। ওই সিরিজে অপাতত জাতীয় দলের ভার থাকছে সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাঁধে-এমনটা জানান বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন।

খালেদ মাহমুদ নিজেও মুখিয়ে আছেন দলের আপদকালীন কোচ হতে। নিজের এই ইচ্ছার কথাও জানান মিডিয়ার কাছে। সব মিলে জাতীয় দলের অন্তর্বতিকালীন কোচ হওয়া তাঁর সময়ের ব্যাপার। আর সেটা হলে ক্রিকেট দুনিয়ায় নতুন নজির সৃষ্টি করবেন সাবেক এ লড়াকু অলরাউন্ডার।
সাবেক অধিনায়ক বা ক্রিকেটারদের নিজ দেশের কোচ হওয়ার নজির অনেকই আছে। কিন্তু বোর্ড পরিচালক কাম কোচ হওয়ার ঘটনা ক্রিকেট দুনিয়ায় নেই। এই নজিরটাই গড়তে যাচ্ছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

বহুমূখী ভূমিকা পালন অবশ্য মোটেও নতুন কিছু নয় সুজনের জন্য। বোর্ড পরিচালকের পাশাপাশি তিনি দলের ম্যানেজারেরও দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে তিনি আবাহনীর কোচ। বিপিএলেও বসে নেই। এখানে তিনি কোচ ঢাকা ডায়নামাইটসের। গত বছর থেকে তিনি জাতীয় নির্বাচক কমিটিরও সদস্য।

এখানেই শেষ নয়, খালেদ মাহমুদ সুজন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব তার উপর। প্রথম বিভাগের দল ঢাকা শাইনপুকুরের প্রধান কোচও তিনি। বিসিবি ডেভেলপ কমিটি ও বাংলা ট্রাক ক্রিকেট একাডেমীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বও তার কাঁধে।

অবশ্য সুজন একা নন, বহুমুখী দায়িত্ব পালক করছেন বিসিবিতে এমন ব্যক্তি অনেকেই আছেন। স্বয়ং বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সংসদ সদস্য, আবাহনীর প্রেসিডেন্ট, বেক্সিমকোর ব্যবস্থানা পরিচালক, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প অ্যাসোসিশনের উপদেষ্টাসহ অরো অনেকগুলো পদ সামলাচ্ছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে।

তবে খালেদ মাহমুদের সুজনের ব্যাপার আলাদা। বোর্ড পরিচালক কাম কোচ হলেই বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলবেন দেশের ক্রিকেট অঙ্গনের এ প্রিয় মুখ।