জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বেড়েছে

জাতীয় পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে সরকার। অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে মঙ্গলবার সংশোধিত ‘জাতীয় পুরস্কার/পদক সংক্রান্ত নির্দেশাবলী’ প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার, বেগম রোকেয়া পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার- জাতীয় পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত।

যদিও ইতোমধ্যে স্বাধীনতা ও একুশে পদকের ক্ষেত্রে বর্ধিতহারে অর্থ দেয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নেতৃত্বে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে পাঠানো প্রস্তাব পরীক্ষা করে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা চূড়ান্ত করে।

স্বাধীনতা পদক হচ্ছে বেসামরিক সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। এক্ষেত্রে পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আগে স্বর্ণের পদকের সঙ্গে দুই লাখ টাকা দেয়া হত। এখন দেয়া হচ্ছে তিন লাখ টাকা। এছাড়া আগের মতোই থাকছে আঠার ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র। এ পদক দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হচ্ছে একুশে পদক। এক্ষেত্রে আঠার ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্রের সঙ্গে এক লাখ টাকা দেয়া হত। এখন অর্থ বাড়িয়ে দুই লাখ টাকা করা হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ পদক দিয়ে থাকে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন’ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে। এ পুরস্কার দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়।

বেগম রোকেয়া পদকের ক্ষেত্রে অর্থ ছিল এক লাখ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে দুই লাখ টাকা। এছাড়া আগের মতোই আঠার ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র থাকছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিয়ে থাকে তথ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে আঠার ক্যারেট মানের পনের গ্রাম স্বর্ণের একটি পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। একই সঙ্গে থাকে অর্থ।

সংশোধিত নির্দেশাবলী অনুযায়ী, এখন থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্ষেত্রে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে দেড় লাখ টাকা। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে এক লাখ টাকা করে দেয়া হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।

আগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্ষেত্রে আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তকে এক লাখ টাকা। শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজক, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালককে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হত। অন্যান্য ক্ষেত্রে দেওয়া হত ত্রিশ হাজার টাকা।

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের ক্ষেত্রে আগে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হত। এখন দেয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা করে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দেয়া এ পুরস্কারে অর্থ ছাড়াও আগের মত আঠার ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, একটি সম্মাননাপত্র থাকছে।