জাতীয় ৪ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যার শিকার জাতীয় ৪ নেতার প্রতি জেলহত্যা দিবসে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
দিনের শুরুতেই সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
সেখানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি একা এবং পরে দলীয় প্রধান হিসেবে আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে দোয়া ও মোনাজাত করে বনানী কবরস্থানের উদ্দেশ্যে ধানমন্ডি ত্যাগ করেন।
এরপর আওয়ামীলীগ এবং এর সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে শেখ হাসিনা বনানী কবরস্থানে যান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বনানীতে জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহীতে রয়েছে আরেক জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধি।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাস পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও তার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে ৩ নভেম্বর দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
জাতীয় চার নেতা হলেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান। ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরই এ চার জাতীয় নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এই চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন