জাদুকরী গুণ মাটির পাত্রের !
সভ্যতার উন্নতির কারণে বিলুপ্তের পথে মাটির পাত্র। দৈনন্দিন জীবনের কাজে এখন বাসন-কোসনে শোভা পাচ্ছে প্লাস্টিক, মেলামাইন, কাচ অথবা সিরামিকের তৈজসপত্র।
কিন্তু জানেন কি?- লাইফস্টাইলের এ বদলে আপনি কিছু জাদুকরী গুণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
মাটির পাত্র প্রাচীনকালে আমাদের দেশে অনেক ব্যবহৃত হতো। ঐতিহ্যবাহী এ পাত্র দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এর রয়েছে স্বাস্থের অনেক উপকারিতাও। এগুলো হলো-
১। খাবারের পুষ্টিমান, স্বাদ ও গন্ধ বজায় রাখতে অন্যান্য উপাদানের তৈজসপত্র থেকে মাটির পাত্র সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
২। খাবারকে অধিক কার্যকর করে তুলতে এবং দীর্ঘ সময় খাবার সংরক্ষণ রাখতে মাটির পাত্রই সবচেয়ে বেশি ভালো কাজ করে।
৩। মাটির পাত্র তৈরিতে ব্যবহৃত কাদামাটি প্রকৃতিতে ক্ষারীয় বলে পরিচিত, যা খাবারের অ্যাসিডের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে এবং পিএইচ স্তরকে নিরপেক্ষ করে। এই গুণের কারণে মাটির পাত্রে খেলে খাবার অনেক দ্রুত হজম হয়।
৪। মাটির পাত্রে যদি রান্না করার অভ্যাস করতে পারেন তবে সবচেয়ে কিন্তু আপনি লাভবান হবেন। কারণ মাটির পাত্র ধীরগতিতে রান্না ও তাপ নিরোধক হওয়ায় এটি খাবারের প্রাকৃতিক তেল ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যার কারণে রান্নায় তেল কম লাগে।
৫। বেশির ভাগ মাটির পাত্রই মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করা যায়। মাইক্রোওয়েভে মাটির পাত্র রাখলে উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে এলে এ থেকে কোনো ক্ষতিকর গ্যাস বের হয় না, যা প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে ঘটে।
৬। মাটির পাত্রে খাবার ঢেকে রাখলে দীর্ঘ সময় খাবার গরম থাকে। রান্না করা খাবারের স্বাদ বাড়াতেও মাটির পাত্র সবচেয়ে সেরা।
৭। মাটির পাত্র দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার সংরক্ষণের জন্য খুবই নিরাপদ। এর কারণ হলো মাটির একটি শীতল প্রভাব রয়েছে এবং এটি দুধকে টক হতে বাধা দেয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন