জাপানে ৫৩৪ মিলিয়ন ডলার ‘ডিজিটাল মুদ্রা’ চুরি
জাপানের অন্যতম শীর্ষ ডিজিটাল মুদ্রা বিনিময়কারী একটি প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, তাদের ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে সাইবার হামলা চালিয়ে ৫৩৪ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের ভার্চুয়াল মানি চুরি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর কয়েনচেক ইনকরপোরেশন নামে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নেটওয়ার্কে সব ধরনের ক্রিপ্টো-কারেন্সি সঞ্চয় ও উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তবে বিটকয়েন লেনদেন চলছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, হ্যাকাররা জাপানের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ২টা ৫৭ মিনিটে নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। কিন্তু পরদিন ১১টা ২৫ মিনিটের আগে এই হ্যাকিংয়ের বিষয়ে জানা যায়নি।
এ ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহেল ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনা হবে এটি। জাপানের একই ধরনের আরেক কোম্পানি ম্যাটগক্স-এর নেটওয়ার্ক থেকে ২০১৪ সালে ৪০০ মিলিয়ন ডলার চুরি হয় এবং তারপর কোম্পানিটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। কয়েনচেক-এর চুরি হওয়া অর্থ একটি হট ওয়ালেট-এ সংরক্ষিত ছিল, যা এক্সচেঞ্জ কোম্পানির নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এটা ছিল কোল্ড ওয়ালেটের বিপরীত। কোল্ড ওয়ালেটে ভার্চুয়াল মুদ্রা রাখা হয় অফলাইনে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, চুরি করা মুদ্রা যেখানে পাঠানো হয়েছে সেখানকার ডিজিটাল ঠিকানা তাদের কাছে রয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।কোম্পানির চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা ইয়োসুকি ওতসুকা জানান, ৫২৩ মিলিয়ন এনইএম কয়েনচেক থেকে অন্য ঠিকানায় পাঠানো হয়। এই ডিজিটাল মুদ্রার মূল্য প্রায় ৫৮ বিলিয়ন ইয়েন।
চুরি যাওয়া ভার্চুয়াল মুদ্রা বিনিময়ের সময় তাদের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ইন্টারনেটের ‘হট ওয়ালেট’-এ ছিল। তবে ইন্টারনেটের অফলাইনে ‘কোল্ড ওয়ালেট’-এ এগুলো সংরক্ষিত থাকে।কয়েকচেক জানিয়েছে, অর্থ কোথায় পাঠানো হয়েছে, তার ডিজিটাল ঠিকানা তাদের কাছে আছে। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীদের কিভাবে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে, তা নিয়ে কাজ শুরু করছে তারা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন