জাবির মীর মোশাররফ হোসেন হলে গোখরা সাপ !!
শাহাদাত হোসাইন স্বাধীন : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে বেশ কয়েকদিন ধরে সাপের উপদ্রবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী।
প্রতিদিন হলের কোন না কোন অংশে সাপ দেখা যাচ্ছে। আজ ২৯ জুলাই (শনিবার) দুপুর ১২ টায় হলের বি ব্লকের পাইপ থেকে উদ্ধার করা হয় ২ টি জীবন্ত গোখরা । জানা যায়,দুপুর ১১ টার দিকে হলের আঙিনায় সাপ দেখে আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ড.ফারজানা ইসলামকে ফোন দেন। পরে উপাচার্য বন্য প্রাণী গবেষক ও জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুল হাসানকে জানালে তিনি এসে সাপ ২ টি উদ্ধার করেন।
ড. কামরুল হাসান বলেন,‘আমি বিষযটা জানার পর সাপ ধরার যন্ত্র “স্ন্যাইক টঙ” এর সাহায্যে সাপ ২ টি উদ্ধার করি। ২ টি সাপ ই গোখরা সাপের বাচ্ছা যাদের বয়স ১ সপ্তাহের বেশী হবে না । যেহেতু বাচ্ছা পাওয়া গেছে তার মানে আশেপাশে কোথায় সাপের বাসা আছে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে সাপের বাচ্ছারা শুকনো জায়গার খোঁজে হলের রুমে দিকে ্উঠে আসে।’ তিনি শিক্ষার্থীদের সতর্কতার সাথে চলাচলের পরামর্শ দেন।
এদিকে এর আগে গত কয়েকদিনে হলের বিভিন্ন জায়গা প্রায় ১৭ টি সাপ মারা হয় বলে জানান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। অনুসন্ধানে জানা যায়,গত ২০ জুলাই একসাথে তিনটি সাপ মারার পর শিক্ষার্থীরা হল প্রাধ্যক্ষ ড.শফি মোহামম্দ তারেকের সাথে দেখা করে তাদের আতঙ্কের কথা জানান এবং পর্যাপ্ত কার্বলিক এসিড,হলের সিড়িতে লাইট লাগানো ও আশেপাশের ঘাস কাটার দাবি জানান। এরপর কয়েকদিন সাপের উপদ্রব কমলেও গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) হলের বি ব্লক থেকে প্রায় ৬ ফুট লম্বা গোখরা সাপ মারা হয়। এরপরের দিন দুপুরে বি ব্লক থেকে এবং রাতে এ ব্লক থেকে আরও ২ টি গোখরা সাপের বাচ্ছা মারা হয়। সর্বশেষ আজ (শনিবার) জীবিত এই সাপ ২ টি উদ্ধার কার হয়।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির পর ও হলের আশেপাশের জঙ্গল পরিষ্কার না করা ও বিভিন্ন জায়গায় লাইট না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ভুগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিহাব উদ্দীন জানান, আমরা প্রায় ১০ দিন আগে হল প্রাধ্যক্ষ স্যারকে সাপের উপদ্রব পশমনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানায়,কিন্তু এখনো আশেপাশের জঙ্গল পরিষ্কার করা হয় নি যার ফলে সাপের উপদ্রব কমে নি।
এদিকে বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিকাল অফিসার ডা.বীরেন্দ্র কুমার বিশ^াস বলেন,কোন শিক্ষার্থীকে সাপে কাটঁলে তার জন্য তৎক্ষণাৎ কোন চিকিৎসা নেয়ার ওষুধ বা বিষ নিস্ক্রিয়কারী অ্যান্টিসিরামও বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিকেলে নেই ।
যোগাযোগ করা হলে হল প্রাধ্যক্ষ ড.শফি মোহাম্মদ তারেক বলেন,“বর্ষাকালে একটু সাপের উপদ্রব বেশী থাকে। হলের চারপাশে কার্বলিক এসিড ছিটানো হয়েছে,পানি নিষ্কাশনের পাইপে জাল ব্যবহার করা হয়েছে এবং চারপাশের ঝোপঁ-জঙ্গল কাটা হচ্ছে’। তিনি শিক্ষার্থীদের আতষ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন