জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করায় সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

শুক্রবার (২ আগস্ট) ধানমন্ডিতে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জামায়াত-শিবির চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নির্বাহী আদেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত এ দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত। এটি যুদ্ধাপরাধীদের দল। এর আগেও বাংলাদেশে কয়েকবার জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিল। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে জোরালো দাবি উঠেছিল। সে গণদাবির প্রতি আস্থাশীল হয়ে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে আমরা আবারও স্বাগত জানাই।’

বিএনপির বিবৃতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতি দেখলেই বোঝা যায় জামায়াতের সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। সে সম্পর্কের দায় থেকে জামায়াত নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে তিনি অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বলেছেন। কেননা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জামায়াতের রাজনীতির বৈধতা দেন। খালেদা জিয়া সরকারের আমলে জামায়াত নেতা যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের নাগরিকত্ব ফেরত দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট হয়ে সরকার গঠন করে এ দেশের মানুষের ওপরে বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালায়; স্বাধীন বাংলাদেশে নারীদের ওপর নজিরবিহীন ধর্ষণ ও নির্যাতন চালানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সব সময় গাটছাড়া বেঁধে পথ চলেছে। সুতরাং বিএনপির পক্ষে জামায়াতকে পরিত্যাগ করা অসম্ভব। যে কারণে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় সারা দেশের মানুষ সাধুবাদ জানালেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সিদ্ধান্তকে অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক বলবেন এটাই স্বাভাবিক।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।